সিউল: দক্ষিণ কোরীয় দুই কিশোরীকে ধর্ষণ করেছে দুই মার্কিন সেনা। জনরোষ প্রশমিত করতে শনিবার মার্কিন সেনা কর্মকর্তারা এর জন্য ক্ষমা চেয়েছে।
স্থানীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, সিউলে মার্কিন সেনা ছাউনির দেখাশুনার দায়িত্বে থাকা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডেভিড কনবি এই ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে একটি বিবৃতি দিয়েছেন।
গত ১৭ সেপ্টেমর সিউলে এক সেনা তার ব্যক্তিগত কক্ষে এক কিশোরীকে ধর্ষণ করে। আরেক সেনা সদস্য গত ২৪ সেপ্টেম্বর সিউলের উত্তরে একটি শহরে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে আটক হন।
পূর্ব এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় কূটনীতিক কুর্ট ক্যাম্পবেল গত শুক্রবার এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগে ঘটে যাওয়া ধর্ষণের ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক এবং ক্ষমার অযোগ্য। ’
ধর্ষণের ঘটনা জানাজানি হওয়ার পরই সিউলে মার্কিন দূতাবাসের সামনে কিছু মানুষ বিক্ষোভ করেছে। সেই সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়া জুড়ে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা এই ঘটনায় ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
শনিবার একটি রাজনৈতিক দল সামরকি ঘাঁটির বাইরে মার্কিন সেনাদের চলাফেরা নিয়ন্ত্রণ করার আহ্বান জানিয়েছে। এর পরই সেনা কর্মকর্তারা আনুষ্ঠানিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করলেন।
১৯৫০-৫৩ সালে কোরিয়া যুদ্ধের পর চুক্তি অনুযায়ী দক্ষিণ কোরিয়াতে বর্তমানে ২৮ হাজার ৫০০ মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০০২ সালে দুই মার্কিন সেনা দুই কিশোরীর ওপর সামরকি যান উঠিয়ে হত্যা করলে সেসময় কোরিয়াজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। জনগণ কোরিয়ার মাটি থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের দাবি জানায়।
১৯৯৫ সালে জাপানের ওকিনাওয়া দ্বীপে ১২ বছর বয়সী এক কিশোরীকে এক মার্কিন সেনা ধর্ষণ করলে জাপানে সবচে বড় মার্কিন বিরোধী বিক্ষোভ হয়।
দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর নিরাপত্তা চুক্তির আওতায় জাপানে বর্তমানে ৫০ হাজার সেনা মোতায়েন রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০১১