ঢাকা: নিশ্চিত মৃত্যু জেনেও প্রিয় প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার কথা ভেবে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে পণ্যের উন্নয়ন নিয়ে কাজ করেছেন ক্যান্সার আক্রান্ত স্টিভ জবস।
ক্যালিফোর্নিয়াতে মহাকাশ যানের আদলে অ্যাপলের প্রধান কার্যালয় নির্মাণের পরিকল্পনা ছিল তার।
কুপারটিনোর বর্তমান কার্যালয়ের পাশেই পার্কের মতো করে একটি কমপ্লেক্স করার কথা চিন্তা করছিলেন জবস। সেখানে ১২ হাজার কর্মীর জন্য যথেষ্ট জায়গা ও সুযোগ-সুবিধা রাখা হবে। এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে গত জুনে শহর কাউন্সিল সভায় তিনি গিয়েছিলেনও।
যে স্থানে তিনি প্রধান কার্যালয়টি নির্মাণের পরিকল্পনা করেছিলেন সে এলাকায় হিউলেট প্যাকার্ডে (এইচপি) পার্ট টাইম কাজ করতেন জবস। তখন তার বয়স ১৩ বছর। পরে সুযোগ হলে ওই জায়গাটি কেনার ব্যাপারে তিনি অ্যাপলকে নিশ্চিত করেছিলেন।
অ্যাপলের আইক্লাউড প্রকল্প উন্নয়নেও খুব উদগ্রিব ছিলেন তিনি। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে, অ্যাপল ব্যবহারকারীরা গান, ছবি এবং অন্যান্য তথ্যাদি অনলাইনে সংগ্রহ করতে পারবেন। এছাড়া, আইপড, আইপ্যাড, আইফোন এবং ম্যাকবুকের আরও আকর্ষণীয় হালনাগাদ ভার্সন আগামী চারবছরের মধ্যে বাজারে আনার চিন্তা ছিল তার।
এদিকে অ্যাপল সূত্রে জানা গেছে, স্টিভ জবসের জীবনীগ্রন্থ আগামী ২৪ অক্টোবর বাজারে আসছে। এ বইতে থাকছে তার ৪০টিরও বেশি সাক্ষাতকার। এগুলো নেওয়া হয়েছে দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে। এতে আরও থাকবে শতাধিক জনের সাক্ষাতকার। এদের মধ্যে আছেন, তার পরিবারের সদস্য, বন্ধু, বিরোধী, প্রতিদ্বন্দ্বী এবং সহকর্মী।
স্টিভের ক্যান্সার, ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবন, মৃত্যু এবং সমাহিত সবকিছুতেই অসম্ভব রকম গোপনীয়তা রক্ষা করা হয়েছে। তার মৃত্যু সংবাদও জানা গেছে অ্যাপলের বরাতে। কোম্পানির প্রধান নির্বাহী টিম কুক অ্যাপলের কর্মীদের স্টিভের মৃত্যু সংবাদ দিয়েছেন ই-মেইলের মাধ্যমে। আত্মীয়-স্বজনরা শুধু জানিয়েছেন, স্টিভের মৃত্যু হয়েছে এক শান্তির মৃত্যু।
অ্যাপলের প্রতিষ্ঠাতা, পরিকল্পক, পরিচালক স্টিভ জবস গত বুধবার ৫৬ বছর বয়সে মারা গেছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সারে ভুগছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০১১