বাগদাদ: ইরাকের প্রধানমন্ত্রী নুরী আল মালিকি বলেছেন, ‘সেনা প্রত্যাহারের নির্ধারিত সময় সীমার পরেও মার্কিন সেনারা প্রশিক্ষক হিসেবে ইরাকে থাকতে পারবে। ’
সোমবার একটি আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাতকারে এ কথা জানিয়েছে মালিকি।
২০১১ সালের শেষ নাগাদ ইরাক থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইরাকে মার্কিন সেনা অবস্থানের বিরুদ্ধে দেশটির অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর তীব্র আপত্তি সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী মালিকি এ কথা বললেন।
মালিকি এ ব্যাপারে গত সপ্তাহে ইরাকে মার্কিন সেনা বাহিনীর নেতৃত্বদানকারী কর্মকর্তাদের সমর্থন পেয়েছেন।
মালিকি বলেন, ‘ইরাকে মার্কিন দূতাবাসের প্রশিক্ষণ মিশনের সঙ্গে অথবা আরও বিস্তৃত আকারে ন্যাটোর প্রশিক্ষণ গ্রুপে অন্য সেনারা যুক্ত হতে পারবে। মার্কিন সেনা রাখার বিষয়ে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি না করে বরং এটা করা ভালো, আর ইরাকের সংসদে এর অনুমোদনও পাওয়া যাবে না। ’
তিনি বলেন, ‘আমরা যেসব মার্কিন অস্ত্র কিনেছি তার জন্য প্রশিক্ষক এবং বিশেষজ্ঞ নেওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছি। তবে তা করছি দায়মুক্তিসহ এবং সংসদে না গিয়েই। ’
তবে এ ব্যাপারে ওয়াশিংটন বলছে, বর্তমান চুক্তি অনুযায়ী ইরাকে মার্কিন সেনারা যেমনটি আইনি নিরাপত্তা পাচ্ছে প্রশিক্ষণের বিষয়েও তেমন নিরাপত্তা থাকতে হবে। এতে করে সেনারা দায়িত্বে অথবা ঘাঁটিতে থাকা অবস্থায় কোনো অপরাধ করলে যুক্তরাষ্ট্রে আইনের আওতায় নিয়ে আসা যাবে।
মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, ২০১১ সালের পর প্রশিক্ষণের জন্য ইরাকে সেনা থাকলে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংসদে নিরাপত্তা বিল পাস করতে হবে।
এই অবস্থায় মালিকি কোন ধরনের বিকল্প প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্রের কাছে দেবেন তা পরিষ্কার নয়।
উল্লেখ্য, গত বছরই ইরাকে মার্কিন সেনাদের সম্মুখ যুদ্ধে অবসান ঘোষণা করা হয়েছে। সর্বশেষ ৪৪ হাজার সেনা চলতি বছরের শেষ নাগাদ প্রত্যাহার করা কথা।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১১