শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) দেশটির প্রভাবশালী গণপরিষদের প্রধান ডেলসি রদ্রিগেজ এই বহিষ্কারাদেশ দেন। পেরেইরার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি আইনের শাসন লঙ্ঘন করেছেন, আর কোয়ালিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি ভেনেজুয়েলার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেছেন।
কারাকাসের এই সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছে ব্রাজিল ও কানাডা। দু’টি দেশের সঙ্গেই ভেনেজুয়েলার কূটনৈতিক সম্পর্কে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।
সংবাদমাধ্যম বলছে, ভেনেজুয়েলার বামপন্থি প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর বিরুদ্ধে সম্প্রতি বিরোধীদের হয়রানির অভিযোগ তোলে ব্রাজিল। আর কয়েকমাস আগে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও দুর্নীতির অভিযোগে ভেনেজুয়েলার কয়েকজন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে কানাডা। এরই প্রেক্ষিতে কারাকাস এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
ব্রাজিলে বামপন্থি রাজনীতিক দিলমা রৌসেফকে অপসারণ করে মধ্য-ডানপন্থি মিশেল তেমর প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর কারাকাসের সঙ্গে ব্রাসিলিয়ার সম্পর্কের অবনতি হয়। বামপন্থি ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট মাদুরো ব্রাজিলের রাজনীতিতে ওই পরিবর্তনকে অভিহিত করেন ‘ডানপন্থিদের অভ্যুত্থান’ হিসেবে।
আর যুক্তরাষ্ট্র বলয়ের দেশ কানাডা বরাবরই ভেনেজুয়েলার বাম সরকারের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে আসছে। এই অভিযোগে অটোয়া ওই ভেনেজুয়েলান কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় দু’দেশের সম্পর্কে আরও অবনতি ঘটে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৭
এইচএ/