ঢাকা: ইউক্রেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া টিমোশেঙ্কোকে সাত বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন দেশটির আদালত। মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতে এ খবর বের হয়।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, রাশিয়ার সঙ্গে গ্যাস আমদানি সংক্রান্ত একটি চুক্তি সইয়ে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছেন আদালত। এ রায় ঘোষণার সময় রাজধানী কিয়েভের ওই আদালতের চারপাশে শত শত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
রায় ঘোষণার পর ইউলিয়া টিমোশেঙ্কো বলেন, ‘প্রিয় বন্ধুরা, আমি কেবল বলতে চাই যে, আমি এই রায় প্রত্যাখ্যান করছি। আর এও বলছি, আমরা আবার ১৯৩৭ সালে ফিরে গেছি। ’ সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের একনায়ক জোসেফ স্তালিনের শাসনামলের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি এ কথা বলেন। সেসময় সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত ছিল ইউক্রেন।
তবে বিচারক রোদিয়ন কিরিয়েভ বলেন, ‘টিমোশেঙ্কোর শাস্তি বাড়ানো বা কমানোর পক্ষে কোনো প্রমাণ উপস্থিত করতে না পারায়, তার অপরাধের সামাজিক বিপদ বিবেচনায় রেখে এবং তার পক্ষে কোনো ধরনের অনুশোচনা না থাকায় তার কারাদ- মওকুফ করার যুক্তি খুঁজে পাননি আদালত। ’
গত এপ্রিলে ইউক্রেনের প্রসিকিউটর জেনারেলের অফিস টিমোশেঙ্কোর বিরুদ্ধে রাশিয়ার কাছ থেকে বেশি দরে গ্যাস আমদানি চুক্তি করার অভিযোগ এনে মামলা করে। এতে ইউক্রেনের ১৯ কোটি মার্কিন ডলার ক্ষতি হয়। রাশিয়ার জ্বালানি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান গ্যাজপ্রম
টিমোশেঙ্কো তার বিরুদ্ধে আনা এ অভিযোগ বার বারই নাকচ করে আসছেন। তিনি এ বিচারকে প্রহসন ও বিচারককে প্রেসিডেন্ট ভিক্তর ইয়ানুকোভিচ প্রশাসনের পুতুল বলে মন্তব্য করেছেন। তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা সাজানো এবং রায়ও আগে থেকেই নির্ধারিত ছিল বলে তিনি অভিযোগ করেন।
২০১০-এর ফেব্রুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইয়ানুকোভিচের কাছে সূক্ষ্ম ভোটের ব্যবধানে হেরে যান। এরপর টিমোশেঙ্কো ও তার দলের ওপর দমন-পীড়ন চালায় কর্তৃপক্ষ।
মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল রায়ের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এ রায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সংগঠনটি টিমোশেঙ্কোর মুক্তি করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১১