ঢাকা: মিয়ানমার সরকার দেশটির রাজবন্দিদের মুক্তি দিতে শুরু করেছে। বুধবার শুরু হওয়া এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ছয় সহস্রাধিক আটক ব্যক্তিকে মুক্তি দেবে সরকার।
রাজক্ষমার অংশ হিসেবে প্রথমেই মুক্তি পেতে যাচ্ছেন জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা ও ভিন্নমতাবলম্বী জারগানার। ঘূর্ণিঝড় নার্গিসের পর সরকারের পদক্ষেপের খোলাখুলি সমালোচনা করলে ২০০৮ সালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেই ঘূর্ণিঝড়ে মিয়ানমারের প্রায় এক লাখ ৪০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছিল।
মিয়ানমার সরকার জানিয়েছে, ছয় সহস্রাধিক লোককে মুক্তি দেওয়া হবে। তবে এর মধ্যে কতজন রাজনৈতিক বিবেচনায় আটক ব্যক্তি রয়েছে তা স্পষ্ট নয়। এর আগে গত মে মাসে কয়েকজনকে রাজক্ষমা করা হয়।
সোমবার যুক্তরাষ্ট্র এর প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছে, রাজবন্দি ইস্যুর মতো বিষয়গুলোয় মিয়ানমার সুস্পষ্ট উন্নতি করেছে। সম্প্রতি পশ্চিমা দেশগুলো মিয়ানমারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি রেখেছে।
ধারণা করা হচ্ছে, মুক্তি পেতে যাওয়া বন্দিদের মধ্যে সাংবাদিক, গণতন্ত্রপন্থী কর্মী, সরকারের সমালোচক, বৌদ্ধ মঠের ভিক্ষু (২০০৭-এ এরা সরকার বিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেয়) এবং বৃহত্তর স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে লড়াইরত নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর লোকজন রয়েছে।
গত মে মাসে মিয়ানমার ১৫ হাজার কর্মীকে রাজক্ষমা করে দেওয়ার ঘোষণা দেয়। এর আগে ২০০৯-এ ৭০০০ ব্যক্তিকে মুক্তি দেয়। তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই পদক্ষেপের সমালোচনা করে আসছে। কারণ এর মধ্যে রাজনৈতিক বিবেচনায় আটক ব্যক্তিদে মুক্তি দেওয়া হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১১১২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১১