ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

বিহারের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী লালুর সাড়ে ৩ বছর কারাদণ্ড

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৬, ২০১৮
বিহারের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী লালুর সাড়ে ৩ বছর কারাদণ্ড লালুপ্রসাদ যাদব কি অন্ধকার দেখছেন?

পশুখাদ্য ক্রয় প্রকল্পে দুর্নীতির দায়ে বিহারের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (আরজেডি) প্রধান লালুপ্রসাদ যাদবকে সাড়ে তিন বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

শনিবার (৬ জানুয়ারি) বিহারের পাশের রাজ্য ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচিতে কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরোর (সিবিআই) স্থাপিত বিশেষ আদালতের বিচারক শিবপাল সিং এ সাজা ঘোষণা করেন।  

গত ২৩ ডিসেম্বর এই বিশেষ আদালত দোষীসাব্যস্ত করেন লালুসহ ১৬ জনকে।

তারপর থেকে রাঁচির বিরসা মুন্ড কারাগারে বন্দি রয়েছেন লালুপ্রসাদ।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, গত দু’দিনও লালুকে আদালতে তোলা হয়। শনিবার নিরাপত্তাজনিত কারণে বিচারক সাজা ঘোষণা করেন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে।  

মামলাটিতে লালুসহ ২৩ অভিযুক্ত ছিলেন। তবে দোষী সাব্যস্ত করার সময় সাবেক মুখ্যমন্ত্রী জগন্নাথ মিশ্রসহ সাতজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।

লালুকে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপির কড়া সমালোচক বলে মনে করা হয়। সে কারণে এই মামলার রায় নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব আরজেডি। লালুর দল বরাবরের মতোই বলে আসছে, বিরোধীদের কণ্ঠরোধে কেন্দ্রীয় সরকার ব্যবহার করছে সিবিআইকে। এছাড়া, এ রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করা হবে।

একসময় লালুর দলের সঙ্গে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের জনতা দল-ইউনাইটেডের (জেডিইউ) দহরম-মহরম থাকলেও গত বছরের মাঝামাঝিতে রাজ্য সরকারের নেতৃত্ব নিয়ে তাদের জোটে ফাটল ধরে। এই ফাটলের পরিণতি ঠেকে নীতিশের বিজেপি শিবিরে যোগদানে এবং মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে অব্যাহতিতে। পরে লালুর জোটকে হারিয়ে বিজেপির সমর্থনে ফের মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসেন নীতিশ।

এরপর আরজেডি নেতা লালুর বিরুদ্ধে প্রায় দু’দশকের পুরনো পশুখাদ্য মামলাটির রায়কে বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখছিলেন বিশ্লেষকরা। শেষ তক নীতিশের একসময়ের প্রধান পরামর্শক লালু সেই মামলায় কারাদণ্ডিতই হলেন।  

মামলাটির বিষয়ে সংবাদমাধ্যম বলছে, ১৯৯৪-৯৬ সালের দিকে লালু মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালে পশুখাদ্য কেনার ভুয়া বিল দেখিয়ে সরকারি ‘দেওঘর ট্রেজারি’ থেকে ৮৪ কোটি ৫০ লাখ রুপি তুলে নেওয়া হয়।  

ঠিক একই কায়দায় ‘চাইবাসা ট্রেজারি’ থেকে ৩৭ কোটি ৫০ লাখ রুপি তুলে নেওয়ার দায়ে ২০১৩ সালে লালুর পাঁচ বছরের জেল ও ২৫ লাখ রুপি জরিমানা করা হয়। সে বছরই সুপ্রিম কোর্ট তাকে ওই মামলায় জামিন দিলেও বাতিল হয়ে যায় লালুর সংসদ সদস্য পদ। একইসঙ্গে জারি হয় নির্বাচনে তার অংশগ্রহণের ওপর ছয় বছরের নিষেধাজ্ঞা।

রাজ্যের রাজনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, দেওঘর ট্রেজারি থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার মামলায় সাড়ে তিন বছর কারাদণ্ড হওয়ায় লালু আরও বেকায়দায় পড়ে গেছেন। লালুর অনুসারীরা আশা করছিলেন অন্তত তিন বছরের কম সাজা হলে তিনি আইন অনুযায়ী জামিনের আবেদন করতে পারতেন, কিন্তু এখন সে সুযোগ থাকছে না। তারপরও রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে আরজেডি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০১৭
এইচএ/

** দুর্নীতি মামলায় দোষী লালুপ্রসাদ, সাজা ৩ জানুয়ারি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।