ঢাকা, বুধবার, ৮ মাঘ ১৪৩১, ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ২১ রজব ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

নতুন রাণীকে ঘরে তুললেন ভুটানের রাজা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১১
নতুন রাণীকে ঘরে তুললেন ভুটানের রাজা

পুনাখা, ভুটান: রাজপরিবারের ঐতিহ্যবাহী প্রথা ভেঙ্গে এক সাধারণ মেয়েকে বিয়ে করলেন ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক। বৃহস্পতিবার মহাআড়ম্বরে বৌদ্ধ ধর্মমতে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।


 
প্রথা ভাঙ্গার জন্য কিছুটা অস্বস্তি এবং বৌদ্ধ সন্ন্যাসিদের স্তব-স্তুতিতে মুখর পরিবেশে ভুটানের পঞ্চম রাজা জিগমে পছন্দের নারী জেতসান পেমাকে রাণীর মুকুট পরিয়েছেন। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারা হয়েছে পুনাখায় ১৭ শতকে নির্মিত দুর্গঘেরা রাজকীয় প্রাসাদে। কিছু ধারাবাহিক ধর্মীয় রীতিনীতির মধ্য দিয়ে এই বিয়ে সম্পন্ন হয়। রাজধানী থিম্পু থেকে পুনাখা আড়াই ঘণ্টার পথ।

নবদম্পতি থিম্পুতে ফিরবেন আগামী শুক্রবার। বিয়ে উপলক্ষে ভুটানে তিন দিনের সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

মূল অনুষ্ঠান শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত আকারে শুদ্ধিকরণ অনুষ্ঠানের পর বর-কনে পরস্পরের হাত ধরে হাস্যজ্জ্বল মুখে প্রাসাদের মূল অংশের দিকে হেঁটে যান। সেখানে কনেকে রাণীর সিংহাসনে বসানোর আনুষ্ঠানিকতার অংশ হিসেবে আশীর্বাদ, প্রণাম এবং প্রার্থনা করা হয়।

৩১ বছর বয়সী রাজা জিগমে একজন অক্সফোর্ড গ্র্যাজুয়েট। ২০০৮ সালে নেপাল যখন গণতন্ত্রের পথে তখন তিনি সিংহাসনে আরোহন করেন। বিয়ে করলেন, ২১ বছর বয়সী জেতসান পেনামকে। পেনামের বাবা বিমানের পাইলট।

নতুন রাণী লন্ডনে পড়াশোনা করেছেন। ছবি আঁকা এবং ললিতকলায় তার প্রবল অনুরাগ রয়েছে বলে জানা যায়। বিয়ে অনুষ্ঠানে তার পরনে ছিল সোনালি, লাল এবং কালোয় মেশানো রাজকীয় পোশাক।

জনপ্রিয় রাজার জিগমের বিয়ের আয়োজনের শুরু থেকেই ৭ লাখ জনসংখ্যার দেশ ভুটানের শহর থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলে আনন্দের বন্যা বয়ে যাচ্ছে। বিয়ের তিন দিন আগে থেকেই লোকজন নেচে, গেয়ে এবং পান করে আনন্দ করছে।

তবে এই বর্ণিল অনুষ্ঠান দেখার সৌভাগ্য বিদেশিদের হচ্ছে না। কারণ ১৯৯৯ সাল থেকে ভুটানে বিদেশি টিভি চ্যানেল নিষিদ্ধ। তবে এটাই একমাত্র দেশ যার সরকার এর জনগণের জন্য ‘গ্রোস ন্যাশনাল হ্যাপিনেস’ হিসাব করে। অথচ তারা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সেভাবে হিসাবে রাখে না।

গ্রোস ন্যাশনাল হ্যাপিনেস কমিশনের প্রধান কারমান শিতিম কৌতুক করে বলেন, ‘আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন যে, আমাদের আনন্দ বাড়ছে। ’

এই কমিশন দেশের নাগরিকদের মানসিক সুখ বাড়ানোর লক্ষ্যে সরকারি নীতি পরীক্ষ-নীরিক্ষা করে।

বিয়ের সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে নবদম্পতি একটি গণঅনুষ্ঠানে শুভাকাক্সক্ষীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।