বিশ্বব্যাপী সংবাদ মাধ্যমগুলো তার এই মুক্তির খবরটি দিয়েছে। তবে এই মুক্তিদানের ঘটনা সংশ্লিষ্ট অনেককেই হতবাক করেছে।
সোমবার সংশ্লিষ্ট আপিল আদালত ঘুষ কেলেঙ্কারির মামলায় লি জায়ে-ইয়ং-এর ৫ বছরের কারাদণ্ডের রায় আংশিক বহাল রাখে। তবে আদালত ‘বিশেষ বিবেচনায়’ (কোর্টস ডিসক্রেশন) তাকে মুক্তি দেয়।
আদালতের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এ নিয়ে দেশটিতে নতুন করে অসন্তোষ সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।
লি জায়ে-ইয়ং দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট পার্ক গিয়ুন-হাইকে উৎকোচ দিয়েছিলেন। এজন্য প্রেসিডেন্টকে কোটি মানুষের ধিক্কার নিয়ে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়াতে হয়।
এর আগে এই ঘুষ কেলেঙ্কারির ঘটনায় বেশ কিছুদিন ধরে প্রবল জনবিক্ষোভ চলতে থাকে। ‘চায়েবল’ বা বৃহৎ কোম্পানিগুলোর সঙ্গে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক নেতাদের অশুভ আঁতাতের বিষয়টি ফাঁস হবার পর প্রতিবাদ বিক্ষোভে গোটা দক্ষিণ কোরিয়া কার্যত অচল হয়ে পড়ে।
এ ঘটনায় গত বছর দেশটির একটি নিম্ন আদালত লি জায়ে-ইয়ংকে দুর্নীতিতে দোষী সাব্যস্ত করে ৫ বছর কারাদণ্ড দেয়।
স্যামসাং কোম্পানির মালিক লি কুন-হি ২০১৪ সালে হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হয়ে চলাফেরা ও কাজকর্মের শক্তি হারিয়ে ফেলার পর পিতার হয়ে স্যামসাং কোম্পানির সব দায়িত্ব গ্রহণ করেন ৪৯ বছর বয়সী লি জায়ে-ইয়ং।
দক্ষিণ কোরিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন ধনিক শ্রেণীর সীমাহীন দৃর্বৃত্তায়ন ও রাজনীতিকদের সঙ্গে তাদের অশুভ আঁতাতের কবল থেকে দেশকে মুক্ত করার অঙ্গীকার নিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন। কিন্তু সোমবার আপিল আদালতের দেওয়া রায়ে লি জায়ে-ইয়ং-এর মুক্তিলাভের ঘটনা তার উল্টো ইঙ্গিতই দিচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট অনেকে মনে করছেন। তাদের কাছে, লি জায়ে-ইয়ং-এর মুক্তিলাভ খুবই হতাশকরা এক অস্বাভাবিক ঘটনা।
বাংলাদেশ সময়:১৫৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০১৮
জেএম