সোমবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে আইনমন্ত্রী আজিমা শাকুর জরুরি অবস্থা জারির ঘোষণাপত্র পাঠ করেন।
এনিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো জরুরি অবস্থা জারি করলেন আবদুল্লা ইয়ামিন।
আইনমন্ত্রী আজিমা শাকুর জানান, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনাটি কার্যকর হবে বলে সরকার বিশ্বাস করে না। রায় বাতিলের জন্য একাধিক চিঠি দেওয়া হলেও সুপ্রিম কোর্ট তা আমলে নেয়নি। এর ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই জরুরি অবস্থা জারির ঘোষণা আসে।
প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লাহ ইয়ামিনের অভিযোগ, ক্ষমতার অপব্যবহার করছে সুপ্রিম কোর্ট। রোববার (০৪ ফেব্রুয়ারি) পার্লামেন্ট সিলগালা করে সেনাবাহিনী। অনির্দিষ্টকালের জন্য বাতিল হয় পার্লামেন্টের অধিবেশন।
বৃহস্পতিবার (০১ ফেব্রুয়ারি) বন্দি সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদসহ বিরোধীদলীয় নেতাদের মুক্তির আদেশ দেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। এছাড়া বহিষ্কৃত ১২ জন আইনপ্রণেতাকে স্বপদে ফেরানোর আদেশও দেন আদালত। তাদের ওপর থেকে বহিষ্কারাদেশ ফিরিয়ে নেওয়া হলে ৮৫ সদস্যের আইনসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে যেত বিরোধীদল। এজন্য শনিবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) আদেশটি প্রত্যাখ্যান করে পার্লামেন্ট অধিবেশন স্থগিত করে ইয়ামিন সরকার।
এদিকে, আদালতের ওই আদেশ অমান্য করায় প্রেসিডেন্ট ইয়ামিনকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিতে যাচ্ছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট এমন কথা প্রচার করেন দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ অনিল। অন্যদিকে, সুপ্রিম কোর্ট যদি এমন রায় দেন, তবে তা অমান্য করতে পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে আগাম নির্দেশ দেন প্রেসিডেন্ট।
**মালদ্বীপের পার্লামেন্ট ঘিরে রেখেছে সৈন্যরা
বাংলাদেশ সময়: ০৪১৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৮
এনটি