ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়, প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন তার প্রশাসনের ব্যাপারে প্রতিবেশী ও বন্ধু দেশগুলোর ভুল ধারণা দূর করতে দূত পাঠাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দূতেরা তার হয়ে সেখানকার ‘সর্বশেষ পরিস্থিতি বন্ধু দেশগুলোর নেতাদের অবহিত করবেন’’।
কিন্তু সার্কভুক্ত দেশ এবং সার্কের সবচেয়ে বড় ও প্রভাবশালী দেশ হওয়া সত্ত্বেও ভারতে কোনো দূত পাঠাচ্ছেন না প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন গাইয়ুম। তিনি স্পষ্টতই ভারতবিরোধী অবস্থান নিয়েছেন। অন্যদিকে তিনি এশিয়ার সবচেয়ে বড় সামরিক ও অর্থনৈতিক পরাশক্তি ও ভারতের চিরশত্রু চীনের সঙ্গে নিবিড় সখ্য গড়ে তুলেছেন। পাশাপাশি মুসলিম বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী রাষ্ট্র সৌদি আরবের সহায়তা আদায় করেছেন।
চলমান ক্ষমতার দ্বন্দ্বে এখন পর্যন্ত দৃশ্যত প্রেসিডেন্ট ইয়ামিনেরই জয় হয়েছে। এর কারণ তার প্রতি চীন ও সৌদি আরবের পরোক্ষ সমর্থন ও পৃষ্ঠপোষকতা। চীনা সমর্থনের জোরেই তিনি ভারতের মতো আঞ্চলিক শক্তিতে পাশ কাটানোর স্পর্ধা দেখিয়েছেন। এমনকি দেশটিতে শুভেচ্ছাদূত পাঠানোর সৌজন্যটুকুও বাদ দিতে যাচ্ছেন।
‘‘ফ্রেন্ডলি নেশনস’’ বলতেও তিনি মূলত বুঝিয়েছেন চীন, সৌদি আরব ও পাকিস্তানকে।
‘‘বাইরের যে কোনো সামরিক হস্তক্ষেপ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে’’ মর্মে ভারতকে উদ্দেশ্য করে চীনের দেয়া হুশিয়ারির ঘণ্টাকয়েকের মধ্যেই নব বলে বলীয়ান প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিন গাইয়ুম রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে হাজির হয়ে ‘বন্ধু দেশে দূত ’’ পাঠানোর পরিকল্পনাটি ঘোষণা করেন।
শ্রীলঙ্কায় নির্বাসিত সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদ ভারতের কাছে সামরিক সাহায্য চাওয়ার পর ভারত দৃশ্যত প্রেসিডেন্ট ইয়ামিনের বিরুদ্ধে পরোক্ষ অবস্থান নেয়। এ সুযোগটাই লুফে নেয় চীন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৮
জেএম