এই পরিকল্পনার খবরে চীন সতর্ক করে বলেছে, ওয়াশিংটন চীনের বাণিজ্য নিয়ে কিছু করতে গেলে বেইজিংও এর জবাব দিতে প্রস্তুত।
প্রশাসনের আর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শুক্রবার (১৫ জুন) ট্রাম্প চীনের পণ্যের ওপর শুল্কারোপের একটি খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছেন।
প্রশাসনের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বলছে, ট্রাম্প এটা বিশ্বাস করেন না উত্তর কোরিয়ায় বেইজিংয়ের প্রভাব এই বাণিজ্য আলোচনার বাধার কারণ হবে। ট্রাম্প প্রশাসন সরাসরি পরমাণু শক্তিধর দেশ উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।
প্রশাসনের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মানচিন হোয়াইট হাউসের বৃহস্পতিবারের এক বৈঠকে শুল্ক আরোপের বিপক্ষে যুক্তি দিয়েছেন। কিন্তু তিনি বোঝাতে পারেন নি।
চীন সরকারের শীর্ষ কূটনীতিক স্টেট কাউন্সিলর ওয়াং জি বলেছেন, যদি ট্রাম্প শুল্ক নিয়ে অগ্রসর হয় তবে তার দেশও প্রস্তুত আছে।
ওয়াং আরও বলেন, বাণিজ্য ইস্যুতে চীনের দু’ধরনের পছন্দ আছে। প্রথমত সহযোগিতা ও উভয়পক্ষের লাভ। দ্বিতীয়ত বিরোধিতা এবং উভয়পক্ষের ক্ষতি। চীন প্রথমটাকে পছন্দ করে।
তিনি আরও বলেন, আমরা চাই যুক্তরাষ্ট্র আমাদের মতোই বিচক্ষণ সিদ্ধান্ত নেবে। তবে অবশ্যই দ্বিতীয় পছন্দের ক্ষেত্রেও আমরা প্রস্তুত আছি।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে চীনের পণ্য ক্রয় বাড়ার সিদ্ধান্ত থেকে শুল্কারোপের এ সিদ্ধান্ত এসেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এর আগে আমেরিকার ফার্ম ও এনার্জি পণ্যদ্রব্য ক্রয় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় চীন।
ট্রাম্প প্রশাসনের আর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রী উইলবার রস সম্প্রতি বেইজিং এ চীনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তিনি চীনের ৭০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য কেনার প্রস্তাব নিয়ে আসেন। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেননি।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের বাণিজ্য ঘাটতি আছে। কিন্তু তাদের সঙ্গে ভালো আলোচনা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে বোঝাবো এটা কতো গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্য দিয়ে দু'দেশের বাণিজ্য আরও ভারসাম্যপূর্ণ, স্বচ্ছ ও পারস্পরিক হবে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও চীন সফর করছেন। তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ও তাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, শি জিনপিং আশা করেন যুক্তরাষ্ট্র সাবধানতার সঙ্গে সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে। এতে করে চীন-যুক্তরাষ্ট্র মৈত্রী আরও দৃঢ় হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৭ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১৮
এএইচ/এএটি