কর্তৃপক্ষ বলছে, অভিযুক্ত বন্দুকধারীর নাম জ্যারড ওয়ারেন রামোস (৩৮)। তিনি বৃহস্পতিবার (২৮ জুন) বিকেলে ওই পত্রিকা অফিসের বার্তাকক্ষে শটগানসহ প্রবেশ করেন।
তারা বলছে, এর আগে সেই বন্দুকধারী ক্যাপিটাল গেজেটের বিরুদ্ধে মানহানি মামলায় হেরে যান। এ কারণে তিনি পত্রিকা অফিসের বার্তাকক্ষে হামলা চালাতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শুক্রবার (২৯ জুন) আন্নাপলি আদালতে রামোসের জামিন শুনানিতে অ্যার্টনি অ্যাডামস বলেন, রামোস পত্রিকা অফিসে প্রবেশের সময় তার অস্ত্র লুকিয়ে রেখেছিলেন। তিনি পেছনের দরজা দিয়ে প্রবেশ করেন ও দরজাটি বন্ধ করে দেন। এরপর সম্মুখ দরজায় গিয়ে গুলি চালান। বার্তাকক্ষে সংবাদকর্মীরা তখন পেছনের দরজার দিকে ছুটতে শুরু করে।
আন্নে আরুনদেল কাউন্টি পুলিশ প্রধান তিমোথি আলতোমারে শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, রামোস যতজনকে পেয়েছে, ততজনকেই গুলি করে হত্যা করেছে। তিনি জানান, হামলার কিছু সময় পর রামোসকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় এক পুলিশ কর্মকর্তা রামোসকে ডেস্কের নিচে বন্দুক লুকিয়ে রাখতে দেখেন।
শুক্রবার রামোসের জামিন আবেদন বাতিল করে দেয় দেশটির আদালত।
পত্রিকা অফিসে হামলায় নিহতেরা হলেন- সম্পাদকীয় পাতা সম্পাদক গেরাল্ড ফিশম্যান (৬১), সহকারী সম্পাদক রব হিয়াসিন (৫৯), স্টাফ রাইটার জন ম্যাকেনমারা (৫৬), বিক্রয় সহকারী রেবেকা স্মিথ (৩৪) ও বিশেষ প্রকাশনার ওয়েনডি উইনটারস (৬৫)। আহতেরা হলেন- রাচেল পাচিল্লা ও জানেট কোলিই। আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০১ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০১৮
এএইচ/আরআর