শনিবার (৩০ জুন) এক টুইট বার্তায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদকে তেল উৎপাদন বাড়ানোর অনুরোধ করেন। এতে সৌদি বাদশাহও সম্মত হয়েছেন।
টুইট বার্তায় ট্রাম্প লিখেছেন, বাদশাহ সালমানের সঙ্গে কথা বলেছি। তাকে ইরান ও ভেনেজুয়েলার আন্দোলন, অকার্যকরতার কথা ব্যাখ্যা করেছি। সৌদি আরবকে তেল উৎপাদন বাড়ানোর কথা বলেছি। তারতম্য পূরণের জন্য যতদূর সম্ভব ২০ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন বৃদ্ধি হতে পারে। দাম অনেক বেশি! তিনি রাজি হয়েছেন!
গত কয়েক সপ্তাহে তেলের দাম অনেক বেড়েছে। ২০১৪ সালের পর গত বৃহস্পতিবার (২৮ জুন) প্রতি ব্যারেল তেলের দাম বেড়েছে ৭৪ মার্কিন ডলার। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম ১৩ শতাংশ বৃদ্ধির বেশ কিছু কারণও রয়েছে।
শনিবার সৌদি সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সৌদি বাদশাহ ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছ থেকে টেলিফোন কল পেয়েছেন। ট্রাম্প ও সৌদি বাদশাহ আন্তর্জাতিক তেল বাজারের স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ব্যাপারে কথাও বলেছেন। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সরবারহ ঘাটতির জন্য ক্ষতিপূরণের ব্যাপারে তেল সরবারহকারী দেশগুলো আলোচনা করেছে।
তবে সৌদি সরকার তেল উৎপাদন বৃদ্ধির ব্যাপারে এখনও কোনো নিশ্চয়তা দেননি।
সৌদি আরব বিশ্বের সর্ববৃহৎ তেল রফতানিকারক দেশ। এর আগে ওপেকভুক্ত (তেল রফতানিকারক দেশগুলোর সংগঠন) দেশটি জুলাইয়ে দিনপ্রতি ১১ মিলিয়ন তেল উৎপাদনে রেকর্ড গড়ার পরিকল্পনা করেছিল।
গত মাসে ভিয়েনাতে রাশিয়া ও ওপেকের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে তেল উৎপাদন বৃদ্ধিতে দেশগুলো সম্মত হয় এবং একটি যৌথ চুক্তি সই করে। এর কিছুদিন পরেই বিশ্ববাজারে তেলের দাম বৃদ্ধি পায়।
ভিয়েনা বৈঠক নিয়ে ট্রাম্প টুইট বার্তায় লিখেছেন, আশাকরি ওপেকভুক্ত দেশগুলো তাদের গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবে। বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমানোর প্রয়োজন।
ভেনেজুয়েলায় সংকটের কারণে তেল উৎপাদন ব্যহত হয়। এছাড়া ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরে আসার কারণে তেলের দাম বৃদ্ধি হতে পারে বলে অনেকের ধারণা। এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলছে, ইরান থেকে যেসব তেল আমদানি করবে সেসব দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। ইরান ও ভেনেজুয়েলা শীর্ষ তেল সরবারহকারী দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৪ ঘণ্টা, জুলাই ১, ২০১৮
এএইচ/ওএইচ/