আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা রেডক্রসের তথ্যানুযায়ী, দাবানলের কেন্দ্রস্থলের সমুদ্রের পার্শ্ববর্তী মাতি গ্রামের একটি এলাকা থেকেই ২৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে কর্তৃপক্ষ আরো ২৪ জনের মরদেহ উদ্ধারের তথ্য নিশ্চিত করে।
জরুরি উদ্ধারকর্মীরা নৌকা ও হেলিকপ্টারের মাধ্যমে দাবানলে আটকেপড়া লোকজনকে সরিয়ে আনছেন। দাবানল থেকে প্রাণেবাঁচতে লোকজন নৌকায় সমুদ্রপথে পাড়ি জমানোর খবর জানা গেছে। আর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, শতাধিক অগ্নিনির্বাপনকর্মী দাবানল নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছেন। অ্যাথেন্সে ছড়িয়ে পড়া দাবানল থেকে রক্ষা পেতে অনেক মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন। নৌকায় পালানোর সময় আগুন ধরে যাওয়া ১০ পর্যটকের সন্ধানেও চলছে অভিযান।
এদিকে গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী অ্যালেক্সিস টিপরাস জানিয়েছেন, জানমাল রক্ষায় যা কিছু করা সম্ভব সবই করা হবে। এরইমধ্যে বসনিয়া সফর স্থগিত করে ‘অত্যন্ত জটিল’এ পরিস্থিতি থেকে আশু সমাধানে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্মীদের সংগঠিত করার পাশাপাশি গ্রিসে ‘জরুরি অবস্থা’ জারির কথাও জানান প্রধানমন্ত্রী।
অন্যদিকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের সরকারকে হেলিকপ্টার ও অগ্নিনির্বাপক কর্মী পাঠানোর মাধ্যমে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে গ্রিস সরকার। যদিও এরইমধ্যে ইটালি, জার্মানি, পোল্যান্ড ও ফ্রান্স প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম দিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে। তবে ক্রমাগত তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে অগ্নিনির্বাপনকর্মীদের।
এর আগে ২০০৭ সালে গ্রিসের দক্ষিণাঞ্চলীয় পেলোপোনেস্সি উপত্যকায় ভয়াবহ দাবানলের ঘটনায় কয়েকডজন মানুষের প্রাণহানি হয়। তবে এবারের দাবনল সেই অবস্থাকে ছাড়িয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২০ ঘণ্টা, জুলাই ২৪,২০১৮
জেডএস