আবহাওয়া সংস্থার মুখপাত্র মোতোআকি তাকেকাওয়া সতর্ক করে বলেন, বেশ কিছু অঞ্চলে অসহনীয় তাপমাত্রা দেখা গেছে। তিনি আরও বলেন, জনজীবনে হুমকির কারণে তাপদাহকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
দেশটির জরুরি সংস্থার কর্মকর্তারা বলেন, হিট স্ট্রোকের কারণে ২২ হাজারের বেশি মানুষকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া অধিকাংশরাই বৃদ্ধ।
আবহাওয়া পূর্বাভাসের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তাপদাহ কমে যাওয়ার তেমন কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
সোমবার (২৩ জুলাই) দেশটির কুমাগায়া শহরে ৪১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। যা জাপানের এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
এছাড়া টোকিওতেও প্রথমবারের মতো ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
জাপানের আবহাওয়া সংস্থা সতর্ক করে বলেছে, আগস্টের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত দেশটিতে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি তাপমাত্রা থাকবে।
জাপানের সরকারি মুখপাত্র ইয়শহিহিদে সুগা এক বিবৃতিতে বলেন, স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের রক্ষায় গ্রীষ্মকালীন অবকাশ বাড়ানো হতে পারে। তিনি বলেন, রেকর্ড পরিমাণ তাপমাত্রার কারণে স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের রক্ষার ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।
জাপানের অর্ধেকেরও বেশি সরকারি স্কুলে এসি নেই।
এদিকে দেশটির জনসাধারণকে প্রচুর পানি পানের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও এসি রুমে থাকা ও বিশ্রামের পরামর্শও দিয়েছে আবহাওয়া সংস্থা।
দেশটিতে তীব্র তাপদাহের আগে টানা বৃষ্টিপাতে মারাত্মক বন্যা ও ভূমিধস হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩১ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৮
এএইচ