মঙ্গলবার (২৪ জুলাই) বিকেলে কাঠমান্ডুর নিজ মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন। এ সময় তার স্ত্রীও উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন তামাং। তিনি বলেন, নৈতিক জায়গা থেকে আমি প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেবো।
এর আগে গত ২২ জুলাই (রোববার) কাঠমান্ডুর এক অনুষ্ঠানে দেশটির আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে এমবিবিএস কোর্সে পড়তে যাওয়া নেপালের ছাত্রীরা নিজেকে বিক্রি করে দিয়ে থাকেন। তারা নিজেকে বিক্রি করেই তাদের সার্টিফিকেট অজর্ন করেন। ’
নেপালি মন্ত্রীর এই বক্তব্যের পর তোলপাড় শুরু হয় কাঠমান্ডুতে। সেই ঢেউ লাগে ঢাকায় অবস্থানরত নেপালি শিক্ষার্থীদের মাঝেও।
আরো পড়ুন>>
** ছাত্রীদের নিয়ে নেপালি মন্ত্রীর বক্তব্যে তোলপাড়
এক পর্যায়ে সোমবার (২৩ জুলাই) ওই বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চান তামাং। এমনকি তার বক্তব্য প্রত্যাহারও করে নেন তিনি।
কিন্তু মন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ অব্যাহত থাকে। এরই মধ্যে মঙ্গলবার সকালে ঢাকার নেপাল দূতাবাসে এ ঘটনায় স্মারকলিপি দেয় নেপালিজ স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন্স বাংলাদেশ।
স্মারকলিপিতে, আইনমন্ত্রী তামাংয়ের পদত্যাগ দাবি করা হয়। তবে এর আগে মঙ্গলবার সকালে গুজব ছড়িয়ে পড়ে, তামাং পদত্যাগ করেছেন। দিনভর এ গুজব উড়িয়ে দিলেও বিকেলে পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন স্বয়ং তামাং-ই।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৬ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৮/আপডেট: ২১১৬ ঘণ্টা
এমএ/