ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

কারা আসছে পাকিস্তানের সরকারে?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১৮
কারা আসছে পাকিস্তানের সরকারে? নওয়াজ শরিফ, ইমরান খান ও বিলাওয়াল ভুট্টো

বিক্ষিপ্ত সহিংসতা ও বিভিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে পাকিস্তানের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এখন চলছে ভোট গণনা। গণনা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফল পেতে শুরু করেছে সংবাদমাধ্যম। চূড়ান্ত ফল পাওয়ার মধ্য দিয়েই জানা যাবে, কে আসছে পাকিস্তানের সরকারে; দুর্নীতির দায়ে কারাবন্দি নওয়াজ শরিফের দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ (পিএমএল-এন), নাকি সেনাবাহিনী-পুষ্ট বলে পরিচিত ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই), অথবা বেনজির ভুট্টোর পুত্র বিলাওয়াল ভুট্টোর নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)!

সেনাবাহিনীর গড়াপেটার গুঞ্জনসহ নানা আলোচনার মধ্যে বুধবার (২৫ জুলাই) স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয় পাকিস্তানজুড়ে। ভোটগ্রহণ চলে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।

প্রায় দুই কোটি নতুন ভোটারসহ ১০ কোটি ৬০ লাখ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এরপর শুরু হয় গণনা। বৃহস্পতিবার (২৬ জুলাই) ভোরের আগেই বেসরকারিভাবে পুরো ফলাফল জানা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।  

সরকার গঠনের জন্য ২৭২ বিশিষ্ট জাতীয় সংসদে প্রয়োজন হবে ১৩৭টি আসন। কোনো দল এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠ হতে না পারলে সমমনা দলগুলো মিলে গড়বে জোট সরকার।

নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন ১১ হাজার ৬৭৩ জন প্রার্থী। এরমধ্যে জাতীয় পরিষদ বা কেন্দ্রীয় সংসদে ৩ হাজার ৪২৪ জন এবং প্রাদেশিক পরিষদে প্রার্থী হয়েছেন ৮ হাজার ২৪৫ প্রার্থী। এরমধ্যে দলীয়ভাবে ৫ হাজার ৬৬১ জন প্রার্থী হলেও স্বতন্ত্রভাবে ৬ হাজার ১২ জন।

সংসদ নির্বাচনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে পাঞ্জাব প্রদেশে ৮২০ জন, সিন্ধুতে ৪৪১ জন, খাইবার পাখতুনখওয়ায় ৩৩৫ ও বেলুচিস্তান প্রদেশে ১৭৩ জন এবং রাজধানী ইসলামাবাদে ৩৬ জন প্রার্থী লড়ছেন। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে পাঞ্জাবে ৭১৪ জন, সিন্ধুতে ৩৭৩ জন, খাইবার পাখতুনখওয়ায় ৩৮৬ জন, বেলুচিস্তানে ১১৭ জন ও রাজধানীতে ৩৩ জন।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, নির্বাচন কমিশনে (ইসিপি) নিবন্ধিত ১২০টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ৯৫টি দল নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে সরকার গঠনের লড়াইয়ে আগে থাকছে পিএমএল-এন, পিটিআই ও পিপিপি। বিশেষ করে নওয়াজের দল পিএমএল-এন ও ইমরানের দল পিটিআইয়ের মধ্যেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

পিএমএল-এনের সমর্থকরা যেমন ভাবছেন, (দুর্নীতির দায়ে) নওয়াজকে প্রধানমন্ত্রী পদে অযোগ্য ঘোষণার মাধ্যমে তার প্রতি যে অবিচার করা হয়েছে, সেটা বিবেচনায় নিয়ে জনগণ তাদের ফের ক্ষমতায় বসাবে। অন্যদিকে পর্যবেক্ষকদের ধারণা, বেসামরিক শাসনে বিশ্বাসী নওয়াজের ওপর বরাবরই রুষ্ট সেনাবাহিনী। এই সেনাবাহিনীর হাতেই একবার ক্ষমতা হারাতে হয়েছিল তাকে। অপরদিকে ইমরান খানকে বরাবরই পছন্দ করে প্রভাবশালী এই বাহিনী। নওয়াজের বিরুদ্ধে দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনের পর সুপ্রিম কোর্টে তার বিরুদ্ধে যে মামলা নিয়ে গিয়েছিলেন ইমরান, সেখানে পিটিআই প্রধানের পেছনে ছিল সেনাবাহিনীই। এই সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ইমরানের জন্য যে গড়াপেটার গুঞ্জন উঠেছে, ফলাফলে তারই প্রকাশ ঘটবে।

এদিকে, যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে গোটা পাকিস্তানের বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে ৩ লাখ ৭১ হাজার সৈন্যসহ নিরাপত্তা বাহিনীর প্রায় ৮ লাখ সদস্য মোতায়েন করা হয়। যদিও কোয়েটা, লারকানা, খোজদার, সোয়াবি ও কোহিস্তানে সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে কোয়েটায় আত্মঘাতী হামলায় প্রাণ গেছে ৩১ জনের। তবে অন্য এলাকাগুলোতে সেনা নিরাপত্তায় ভোট হয় অপেক্ষাকৃত শান্তিপূর্ণ।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৬ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১৮
এইচএ/

সুযোগ মিস করবেন না: ভোট দিয়ে ইমরান
কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে চলছে পাকিস্তানের ভোটগ্রহণ
নির্বাচন: আফগানিস্তানের সঙ্গে পাকিস্তান সীমান্ত বন্ধ​
কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে চলছে পাকিস্তানের ভোটগ্রহণ
ভোট দিতে প্রস্তুত ১০ কোটি পাকিস্তানি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।