বৃহস্পতিবার (২৬ জুলাই) রাজ্যের বিধানসভায় এ বিল পাস হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম। ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোতে কোনো রাজ্যের নাম বদলাতে হলে তাতে লোকসভার অনুমোদন প্রয়োজন।
মমতা ২০১১ সালে মুখ্যমন্ত্রী পদে দায়িত্ব নেওয়ার পর রাজ্যটির নাম পরিবর্তনের উদ্যোগ কয়েকবার দেখা যায়। কিন্তু কখনোই তা শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয়নি। দু’বছর আগে ২০১৬ সালের আগস্টে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবনা পাস হয় বিধানসভায়। ওই প্রস্তাবনায় তিনটি পৃথক ভাষা বাংলা, হিন্দি ও ইংরেজিতে রাজ্যের নাম ‘বেঙ্গল’ (Bengal) করার সুপারিশ করা হয়। তখন প্রস্তাবনাটি কেন্দ্রে প্রত্যাখ্যান হয়। এরপর নতুন করে বিল পাস করলো মমতার সরকার। এই বিলে তিন ভাষায়ই রাজ্যের নাম ‘বাংলা’ (Bangla) করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
অনেক ঐতিহাসিকের অভিমত, পশ্চিমবঙ্গ নামের মধ্যে ‘পশ্চিম’ শব্দটি দেশভাগের ইতিহাসের দুঃসহ স্মৃতি বহন করে বিধায় সেটা মুছে ফেলার মানে হয় না। কিন্তু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ভাষার ওপর রাজ্যের নাম রাখায় যেমন আগ্রহী, তেমনি রাজ্যের ইংরেজি নাম ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল’ (West Bengal) নিয়ে বেশ বিরক্তি প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন সময়ে।
তার কর্মকর্তাদের ভাষ্যে, ইংরেজিতে ওয়েস্ট বেঙ্গল হওয়ার কারণে দিল্লিতে যখন সব রাজ্যকে নিয়ে কোনো সম্মেলন হয়, তখন ইংরেজি বর্ণানুক্রমে রাজ্যগুলিকে ডাকা হয় বলে ডব্লিউ দিয়ে শুরু ওয়েস্ট বেঙ্গলের নাম আসে সবার শেষে। সেজন্য পশ্চিমবঙ্গকে কেন্দ্রে অনেক অসুবিধায় পড়তে হয় বলে মনে করে মমতার সরকার। বাংলা রাখা হলে ইংরেজি বর্ণানুক্রমে বি দিয়ে শুরু হলে তখন বেশ আগেই ডাক পড়বে মমতার সরকারের।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫২ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০১৮
এইচএ/