ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইসলাম (পিটিআই) খাইবার পাখতুনখাওয়াতে এগিয়ে রয়েছে। তবে আওয়ামী ন্যাশনাল পার্টি জনপ্রিয়তা হারিয়ে ফেলেছে; তারা ব্যর্থ হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের সব জায়গায় এখন পিটিআই। বুধবারের (২৫ জুলাই) প্রাথমিক ফলাফল নতুন অর্থ তৈরি করছে। আওয়ামী ন্যাশনাল পার্টির জন্য এটা দুঃখজনক।
এদিকে, লাহোরে গুঞ্জন, উৎকট মন্তব্য, প্রতিহিংসা এগুলোই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। এখন পাকিস্তান মুসলিম লীগ নওয়াজ একরকম প্রতিবাদমুখর অবস্থায় রয়েছে। দলের মুখপাত্ররা প্রায় হতবাক। লাহোরে নওয়াজের মুসলিম লীগের বিপর্যয় চোখে পড়ার মতো।
প্রাথমিক ফলাফলে দেখা গেছে, নওয়াজ শরিফের মুসলিম লীগ ইসলামাবাদ ও রাওয়ালপিন্ডিতে খুব সুবিধা করতে পারেনি। ইমরানের পিটিআইয়ের কাছে পরাজয় মেনে নিতে হয়েছে। গুজরাট, ফয়সালাবাদ, মুলতান ও পাঞ্জাবের আরও কিছু দক্ষিণ অঞ্চলে পিছনে পড়ে গেছে নওয়াজের মুসলিম লীগ। তবে শিয়ালকোট ও গুজরানওয়ালাতে সফলতার মুখ দেখেছে দলটি। সব মিলিয়ে নওয়াজের দল তাদের সব থেকে কঠিন সময় পার করছে।
নির্বাচনের প্রাথমিক পরিসংখ্যান থেকে দেখা যাচ্ছে, ইমরানের দল ১০০টির বেশি আসন নিয়ে এগিয়ে আছে। তবে দলের নিরাপদ অবস্থানের জন্য প্রয়োজন পড়বে আরও অনেক আসন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইমরানের সফলতা নতুন যুগের সূচনা করছে। পিটিআইয়ের চরম প্রতিদ্বন্দ্বীতার কারণে একক কোনো দলের প্রভাব কমে গেছে। তবে ইমরানের প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়াবে নওয়াজের পাকিস্তান মুসলিম লীগ ও জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টি। তবে ইমরানের সাম্প্রতিক মন্তব্য থেকে এটা স্পষ্ট যে তিনি পাকিস্তান পিপলস পার্টির সঙ্গে জোট বাঁধতে চাইবেন না।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০১৮
এএইচ/টিএ