আপাতত জাপানের দক্ষিণের ভূ-খণ্ডে টাইফুনটির চোখ হলেও তা ধীরে ধীরে দিক পরিবর্তন করে উত্তর-পূর্ব দিক হয়ে পশ্চিমের হনশু উপকূলে পৌঁছাবে। এতে সাগর উত্তাল হয়ে ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করবে।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৬ জুলাই) বিকেলের পর ‘জংদারি’ টাইফুনে পরিণত হয়ে আইও জিমা অতিক্রম করে এখন জাপানের মূল ভূ-খণ্ডে চোখ রাঙাচ্ছে। এখন পর্যন্ত এটি ক্যাটাগরি-২ টাইফুনে রূপান্তরিত হয়েছে। আঘাত হানার সময় এটি ক্যাটাগরি-৩ পর্যন্ত পরিবর্তন হতে পারে বলে জানিয়েছে স্থানীয় আবহাওয়া অধিদফতর।
শনিবার (২৮ জুলাই) রাত নাগাদ টাইফুনটি জাপান উপকূল অতিক্রম করে কিছুটা দুর্বল হয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন আকু ওয়েদারের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ অ্যাডাম দৌতি।
টাইফুনের প্রভাবে প্রবল বর্ষণে ভূমিধস, বন্যার সম্ভাবনা রয়েছে। একইসঙ্গে বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। আঘাতস্থল হনশুতে ১২ থেকে ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত টানা বর্ষণ হতে পারে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, টাইফুনটি আঘাতের সময় ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। এতে সমুদ্রের পানি তীরে আছড়ে পড়ে জানমালের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এছাড়া ঝড়ের গতিপথে থাকায় টোকিওতে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করেছেন বিশেষজ্ঞরা। আর সোমবার (৩০ জুলাই) নাগাদ ঝড়টি পুরোপুরি দুর্বল হয়ে দক্ষিণ কোরিয়া উপকূল অতিক্রম করবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০১৮
জেডএস