যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিত মন্ত্রী পর্যায়ের এক সম্মেলনে বক্তৃতা করছিলেন মাহমুদ আলী। আধুনিক ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ের ওপর গত ২৫ ও ২৬ জুলাই দু’দিনের এ সম্মেলন আয়োজন করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পোম্পিও।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্মেলনে বিশ্বনেতাদের উদ্দেশে বলেন, মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশ অভিমুখে যে শরণার্থী ঢল নেমেছে, সেটা এ যাবতকালের সবচেয়ে ভয়াবহতম জাতিগত-ধর্মীয় নিধনযজ্ঞের পরিণতিতে হয়েছে। কিন্তু এই শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়ে এবং প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে সহায়তার মাধ্যমে বাংলাদেশ যে ভূমিকা পালন করেছে সেটা সত্যিকারের ত্রাণকর্তার এবং এটাই বাংলাদেশের সামগ্রিক উদারতার পরিচয়। এছাড়া বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার চর্চা এবং উদার, অংশগ্রহণমূলক ও বহুজাতিক সামাজিক কাঠামো বিনির্মাণে সরকারের নানা পদক্ষেপের কথাও তুলে ধরেন মাহমুদ আলী।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আন্তর্জাতিক ধর্মীয় ফোরামে (আইআরএফ) নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ স্যাম ব্রাউনব্যাক। অংশ নেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স, পররাষ্ট্রমন্ত্রী পোম্পিও, জাতিসংঘে নিযুক্ত অ্যাম্বাসেডর নিকি হ্যালে প্রমুখ।
ব্রাউনব্যাক এই বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় ও সহায়তা দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেন। আর রোহিঙ্গাদের জন্য যে উদার ও মানবতাবাদী ভূমিকা বাংলাদেশের জনগণ ও সরকার রেখেছে, সেজন্য ধন্যবাদ জানান হ্যালে।
সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের মন্ত্রীসহ ৮০ জন প্রতিনিধি অংশ নেন, যেখানে ছিলেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও ধর্মীয় নেতারাও।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০১৮
এইচএ/