তবে বাংলাদেশের মতো আকাশ মুখ ভার করে থাকায় ব্রিটেনবাসীও স্পষ্ট ‘ব্লাড মুন’ উপভোগ করতে পারেননি। সেখানেও মেঘের সঙ্গে ছিলো বৃষ্টির বাগড়া।
শতাব্দীর দীর্ঘতম এই পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণে মূলত সূর্য, পৃথিবী ও চাঁদ একই সরলরেখায় চলে আসে। ফলে পৃথিবীর পরোক্ষ ছায়ায় চাঁদকে রক্তাভ দেখায়। এর জন্যই এই চাঁদকে ডাকা হয় ‘ব্লাড মুন’।
তুরস্কের আঙ্কারের আকাশ থেকে চাঁদের ধাপে ধাপে ‘ব্লাড মুন’-এ রূপান্তরিত হওয়ার এ চিত্র ধারণ করা হয়েছে।
জার্মানির বার্লিনে ‘ব্লাড মুন’ দেখতে ভিড় জমান লোকজন। স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৭ জুলাই) বিকেলেই বার্লিনের আকাশ লাল রং ধারণ করে।
ফ্রান্সের কর্সিকার মেডিটেরিয়ান দ্বীপের ভ্যানজোলাকা গির্জার মাথায় ভর করেছে শতাব্দীর দীর্ঘতম ‘ব্লাড মুন’।
দাবানলে বিপর্যস্ত গ্রিসের ‘অ্যাপোলো অব কোরিন্থ’ গির্জার মাঝখানে পূর্ণ ‘ব্লাড মুন’র এ চিত্র ধরা পড়েছে আলোকচিত্রীর ক্যামেরায়।
সংযুক্ত আবর আমিরাতের আবুধাবির শেখ জায়েদ গ্র্যান্ড মসজিদের আকাশে ভাসছে শতাব্দীর দীর্ঘতম ‘ব্লাড মুন’। মাত্রই একটি প্লেন তা অতিক্রম করলো।
ঢাকার আকাশে চন্দ্রগ্রহণ শুরু হয় রাত ১১টা ১৩ মিনিটি ৬ সেকেন্ডে। কেন্দ্রীয়গ্রহণ হয়েছে রাত ২টা ২১ মিনিট ৪৮ সেকেন্ডে আর গ্রহণ শেষ হয়েছে ভোর ৫টা ৩০ মিনিট ২৪ সেকেন্ডে। সময় অনুযায়ী বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি মানুষ ৮৪ মিনিট থেকে ১০৪ মিনিটি পর্যন্ত এ ‘ব্লাড মুন’ উপভোগ করতে পেরেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৯০০ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০১৮
জেডএস