এটাকে ‘বাঙালি খেদাও’ পদক্ষেপ বলে অভিহিত করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।
এই চলমান বিতর্কের আলোকে ভারতের ‘এনআরসি’ বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা দেবে নিম্নোক্ত পয়েন্টগুলো:
১. এনআরসি ভারতের সুপ্রিম কোর্ট দ্বারা বাধ্যতামূলক প্রক্রিয়া।
২. এ প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করে সুপ্রিম কোর্ট। এটি কোনো রাজনৈতিক প্রক্রিয়া নয়।
৩. সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে ও নির্দেশে প্রক্রিয়াটি বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছে ভারত সরকার ও রাজ্য সরকার।
৪. ৩০ জুলাই প্রকাশিত তালিকাটি একটি খসড়া মাত্র।
৫. চূড়ান্ত এনআরসি প্রকাশ হওয়ার আগে আসাম রাজ্যের প্রত্যেক ব্যক্তিকে তার নাগরিকত্ব প্রমাণের পর্যাপ্ত সময় ও সুযোগ দেওয়া হবে।
৬. আইন অনুযায়ী এনআরসি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হচ্ছে। সিটিজেনশিপ অ্যাক্ট-১৯৫৫ ও সিটিজেনশিপ রুল-২০০৩’র বিশেষ বিধি অনুযায়ী তা সম্পন্ন হবে।
৭. আসামের সব প্রকৃত জনগণকে এনআরসিতে অনর্ভুক্ত করার নির্দেশ রয়েছে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের।
৮. ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছেন, প্রত্যেক ব্যক্তি ন্যায়বিচার পাবেন। সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি স্বচ্ছতা ও সতর্কতার সঙ্গে সম্পন্ন করা হবে।
৯. রাজ্যের সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। বলা হয়েছে, কাউকে হয়রানি করা হবে না, অথবা কাউকে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে রাজ্য সরকারকে সব রকম সহায়তা দেবে কেন্দ্রীয় সরকার।
১০. আসামের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, কাউকে ডিটেনশন ক্যাম্পে (শরণার্থী শিবির) পাঠানোর কোনো প্রশ্নই ওঠে না। তাছাড়া, কারো নাম এনআরসির খসড়া তালিকায় না থাকলেও তাকে বহিরাগত হিসেবে ধরে নেওয়া হবে না।
সোমবার (৩০ জুলাই) প্রকাশিত তালিকায় রাজ্যের মোট ৩ কোটি ২৯ লাখ বাসিন্দার মধ্যে নাম উঠেছে ২ কোটি ৯০ লাখ মানুষের। বাদ পড়ে গেছেন বাকিরা। এর আগে গত ডিসেম্বরে প্রকাশিত এনআরসির প্রথম তালিকায় জায়গা হয়েছিল মাত্র ১ কোটি ৯০ লাখ বাসিন্দার। বাদ পড়ে কয়েক পুরুষ ধরে আসামে বসবাসকারী বহু বাঙালির নাম। নতুন তালিকায়ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু ও বাঙালি-অধ্যুষিত এলাকার লোকদের নাম বাদ গেছে বেশি বলে অভিযোগ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১৮
এনএইচটি/এএ