১ আগস্ট পর্যন্ত সফটওয়্যারটি অনলাইনে ছাড়ার সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আদালত বলেছেন, এর কারণে বন্দুকের ব্লু প্রিন্ট ভুল মানুষের হাতেও যেতে পারে।
গত শুক্রবার (২৭ জুলাই) ‘ডিফেন্স ডিসট্রিবিউটেড’ নামে একটি অস্ত্রবিষয়ক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান আগ্নেয়াস্ত্রের থ্রিডি প্রিন্ট দেওয়ার একটি সফটওয়্যার ডাউনলোডের জন্য অনলাইনে ছাড়ে।
প্রতিষ্ঠানটি গত জুনে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্রের থ্রিডি প্রিন্ট সফটওয়্যার বৈধভাবে অনলাইনে ছাড়ার জন্য ঐক্যমতে পৌঁছায়।
কিন্তু গত সোমবার (৩০ জুলাই) সরকারের কাছে এর বিরুদ্ধে আবেদন করে যুক্তরাষ্ট্রের আটটি রাজ্য ও ফেডারেল ডিস্ট্রিক্ট কলাম্বিয়া। তারা বলছে, চিহ্নিত করা যায় না এমন বন্দুক নিরাপত্তার দিক থেকে বিপজ্জনক।
যুক্তরাষ্ট্রের ডিস্ট্রিক্ট বিচারক রবার্ট লাসনিক বলেন, সরকারি স্কুল কিংবা সরকারি জায়গায় থ্রিডি প্রিন্টার রয়েছে। যার কারণে অপূরণীয় ক্ষতি হতে পারে।
বিচারক রবার্ট লাসরিক এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন ১০ আগস্ট।
গত সপ্তাহে ওই প্রতিষ্ঠানটি নয় ধরনের বন্দুকের ফাইল তাদের ওয়েবসাইটে আপলোড করে। গত শুক্র ও রোববারের মধ্যে এক হাজারের বেশি মানুষ থ্রিডি প্রিন্টেড বন্দুকের সফটওয়্যার ডাউনলোড করে। ডাউলোড করা অধিকাংশ সফটওয়ারই ছিলো এআর-১৫ মডেলের। এ মডেলের বন্দুকটি আমেরিকার অনেক ‘নির্বিচার গুলিতে’ ব্যবহার হয়।
ওয়াশিংটন রাজ্যের অ্যার্টনি জেনারেল বব ফার্গুনসনসহ বিভিন্ন রাজ্যের কয়েকজন ট্রাম্প প্রশাসনের সিয়াটলে এ বিষয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। তারা থ্রিডি প্রিন্টেড বন্দুক সফটওয়্যারের কারণে জাতীয় নিরাপত্তা ও নাগরিকদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তারা বলছেন, থ্রিডি প্রিন্টেড বন্দুক শনাক্ত করা যাবে না। এতে কোনো আগ-পিছও খতিয়ে দেখা যাবে না। ফলে অপরাধীরা খুব সহজেই এগুলো ব্যবহার করতে পারবে।
নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, এ ধরনের বন্দুক মেটাল ডিটেক্টরে ধরা পড়ে না। ফলে ভবন ও এয়ারপোর্টেও নিরাপত্তা হুমকি থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০১, ২০১৮
এএইচ/এইচএ/