শুক্রবার (১০ আগস্ট) ভোরে ভারী অস্ত্রসজ্জিত তালেবান যোদ্ধারা প্রাদেশিক রাজধানী গাজনি শহরে প্রবেশ করলে এ সংঘর্ষ শুরু হয়।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, সংঘর্ষের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তালেবান সন্ত্রাসীরা শহরের অধিকাংশ এলাকা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়।
আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ রাদমানিশ জানান, শহরটি এখন সেনা-সমর্থিত পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এদিকে কাবুলে থেকে আলজাজিরার এক সাংবাদিক জানাচ্ছেন, এটা এখনও স্পষ্ট নয় যে শহরের কতোটুকু এলাকা সরকারের নিয়ন্ত্রণে এসেছে, কারণ সেখানকার অধিবাসীরা এখনও ভারী গোলা ও রকেটের আওয়াজ শুনতে পাচ্ছেন।
অধিবাসীদের বক্তব্যের বরাত দিয়ে সংবাদ মাধ্যমটি জানায়, পুলিশের কাছ থেকে শহরের বেশ কিছু চেকপয়েন্ট নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে তালেবান যোদ্ধারা। তবে আফগান সরকার ও যুক্তরাষ্ট্র এ দাবি অস্বীকার করে বলছে, তালেবানদের পেছন হটাতে সক্ষম হয়েছে তারা।
এ সংঘর্ষে নিরাপত্তাবাহিনীর কমপক্ষে ১৪ জন সদস্য নিহত হওয়ার তথ্য জানান গাজনি সিটি হসপিটালের কর্মকর্তা বাজ মোহাম্মদ হিমাত।
প্রাদেশিক পুলিশের প্রধান ফরিদ আহমাদ জানান, সংঘর্ষের পর তালেবান যোদ্ধাদের মরদেহ রাস্তায় পড়েছিল। শহরের দক্ষিণ প্রান্তের একটি ব্রিজের তলদেশ থেকে ৩৯ জন তালেবান যোদ্ধার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
জানা যায়, সংঘর্ষের কারণে শহরের সবকয়টি দোকান বন্ধ রাখা হয়েছে। তাছাড়া কাবুল থেকে দক্ষিণাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
গত জুনে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে যুদ্ধ বিরতিকে কেন্দ্র করে শান্তি বজায় রাখার ব্যাপারে আফগান সরকারের সঙ্গে তালেবান যোদ্ধাদের যে আলোচনার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল, এ হামলার মাধ্যমে তা ভেস্তে গেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১৮
এনএইচটি