শুক্রবার (১০ আগস্ট) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে ইরানের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক নিয়ে নিজেদের মনোভাব তুলে ধরে চীন। এতে চীন ইরানের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ককে উন্মুক্ত ও স্বচ্ছ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, দীর্ঘ সময় ধরে চীন ও ইরানের মধ্যে উন্মুক্ত, স্বচ্ছ ও স্বাভাবিক বাণিজ্য সম্পর্ক রয়েছে। বাণিজ্য, ব্যবসা ও এনার্জির ক্ষেত্রে এ বন্ধন যৌক্তিক, ন্যায্য ও আইনসংগত।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইরানের সঙ্গে এ বাণিজ্য সম্পর্ক জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের কোনো নিয়মনীতিকে বাধাগ্রস্ত করে না, অথবা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে চীনের দায়িত্ববোধকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে না। এ সম্পর্ক অন্য কোনো দেশের জন্য ক্ষতিকর নয়। ইরান ও চীনের বাণিজ্য সম্পর্ককে সম্মান করা ও নিরাপদ রাখা উচিত।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, নামমাত্র অজুহাতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ ও হুমকির মাধ্যমে কোনো সমস্যার সমাধান করা যায় না। আলোচনা ও মতবিনিময়ের মাধ্যমে এসব সমাধান করা উচিত।
ইরানি তেলের শীর্ষ আমদানিকারক দেশ চীন। দেশটি প্রতিবছর ইরান থেকে সাড়ে ছয় লাখ ব্যারেল অশোধিত তেল ক্রয় করে যা চীনের মোট আমদানি তেলের ৭ শতাংশ। বর্তমান বাজারমূল্য অনুযায়ী প্রায় ১৫০০ কোটি মার্কিন ডলারের তেল ইরান থেকে আমদানি করে চীন।
চায়না ন্যাশনাল পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (সিএনপিসি) এবং চীনের তেল-গ্যাস সংস্থা সিনোপেক ইরানি তেলের ক্ষেত্রে প্রতি বছর কয়েক কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো ইরানকে পারমাণবিক চুক্তিতে থাকার জন্য জোর দিয়ে আসছে। এর ফলে তারা ইরানের ওপর কিছু নিষেধাজ্ঞা হ্রাসের শর্তও জুড়ে দিয়েছে। কিন্তু চলতি বছরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের আন্তর্জাতিক চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ায়। এছাড়াও নতুন করে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
বাংলাদেশ সময়: ১১২০ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১৮
এএইচ/এনএইচটি