মার্কিন গবেষণা সংস্থা নাসা ও ক্যালিফোর্নিয়া ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজির বিজ্ঞানীরা স্যাটেলাইট থেকে প্রাপ্ত ছবি নিয়ে অ্যাডভান্সড র্যাপিড ইমেজিং পদ্ধতিতে দ্বীপের ভূপ্রকৃতির মানচিত্র তৈরি করেন এবং পূর্ববর্তী পরিমাপগুলোর সঙ্গে তুলনা করে ভূমির উচ্চতার পরিবর্তন পর্যবেক্ষণ করেন।
দেখা যায়, দ্বীপের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে সৃষ্ট ফাটলের কারণে সেখানকার ভূপৃষ্ঠের উচ্চতা ২৫ সেন্টিমিটার বা ১০ ইঞ্চির মতো বেড়ে গেছে।
স্যাটেলাইটের পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে ভূমিকম্পসহ মানবসৃষ্ট দুর্যোগের ক্ষেত্রে প্রতিক্রিয়া জানাতে কর্তৃপক্ষকে সাহায্য করা হবে বলে জানায় নাসা।
গত ৫ আগস্ট ঘটে যাওয়া ভূমিকম্পে লমবোক দ্বীপে প্রাণহানির সংখ্যা এ পর্যন্ত ৩৪৭ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন ১ হাজার ৪৪৭ জন মানুষ। আর বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ১ লাখ ৬৫ হাজারেরও বেশি বাসিন্দা।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানায়, রিখটার স্কেলে কম্পনটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক শূন্য। ভূমিকম্পের পর সুনামির সর্তকতাও জারি করা হয়।
স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বুধবার (৮ আগস্ট) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে বলা হয়, দ্বীপের প্রায় ৮০ শতাংশ ভবনই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিছু কিছু ভবন একেবারে ধসেই গেছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার কারণে অনেক এলাকায় ত্রাণ নিয়ে যেতে পারছেন না সংশ্লিষ্ট কর্মীরা।
দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার মুখপাত্র সুতোপো পুর্বো নুগ্রহ বলেন, গোটা দ্বীপটি যেন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ভূমিকম্পের পর এখনও জনমনের ভীতি-শঙ্কা কাটেনি। লমবকের উত্তরাঞ্চলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি। উদ্ধারকর্মীরা তাঁবু গেড়ে বাস্তুহারাদের মাথা গোঁজার জায়গা করে দিচ্ছেন। দেওয়া হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবাও।
ভূমিকম্পে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলগুলোতে বৈদ্যুতিক সংযোগ ও টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এখানকার প্রধান অঞ্চল মাতারামের পরিস্থিতি সবচেয়ে ভয়াবহ। মেডিকেল স্টাফরা হাসপাতালেই ক্ষতিগ্রস্তদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। হতাহতের সংখ্যা যেটা জানা গেছে, তা আরও বাড়তে পারে।
এ ভূমিকম্পের মাত্র এক সপ্তাহ আগে লমবকে আঘাত হাতা আরেকটি ভূমিকম্পে ১৬ জন প্রাণ হারান।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১৮
এএইচ/এনএইচটি