ঝো লো নামে পরিচিত এ ব্যবসায়ী ‘মধ্যস্থতাকারী’দের মাধ্যমে ইকুয়ানিমিটি কেনার দাবি করলেও নাজিব রাজাককে হটিয়ে ক্ষমতায় আসা মাহাথিরের সরকার বলছে, এর পেছনে রাষ্ট্রের তহবিলের অর্থ রয়েছে।
আইনজীবীদের বরাতে ঝো লো’র মুখপাত্র এক বিবৃতিতে জানান, প্রমোদতরীটি যেভাবে মালয়েশিয়া ‘জব্দ’ করেছে তা অবৈধ।
এক দিন আগে ঝো লো’কে কর্তৃপক্ষের কাছে এসে প্রমোদতরীর মালিকানার প্রমাণ দেখানোর ‘চ্যালেঞ্জ’ ছুড়ে দেন মাহাথির। বলা হয়, প্রমোদতরীটি চুরি হওয়া ওয়ানএমডিবি প্রকল্পের অর্থের বিনিময়ে কেনা।
মাহাথিরের বিরুদ্ধে ভুল বিবৃতির অভিযোগ এনে লো’র মুখপাত্র বলেন, মালয়েশিয়ার ভুল বিবৃতি যুক্তরাষ্ট্রকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলেছে, যার সঙ্গে জাহাজটি অবৈধভাবে দখলে রাখার কোনো সম্পর্ক নেই।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী (মাহাথির) আরও একবার প্রমাণ করলেন তার শাসনব্যবস্থায় যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার কোনো স্থান নেই। এটা স্পষ্ট যে সুষ্ঠু ও ন্যায়সঙ্গত আইনি প্রক্রিয়ায় তার প্রশাসনের কোনোই আগ্রহ নেই।
২৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের প্রমোদতরী ইকুয়ানিমিটি মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষ বাজেয়াপ্ত করার আগে এর মালিকানার দাবিদার ছিল যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিক (ডিওজে) ও ইন্দোনেশিয়া।
ডিওজে’র দাবি, ওয়ানএমডিবির অর্থ কেলেঙ্কারির মাধ্যমে প্রমোদতরীটি কেনা হয়েছিল। আর মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে কেনা এই জাহাজের মালিকানা দাবি করে আসছিলেন লো।
গত সপ্তাহে ইন্দোনেশিয়া ঘোষণা দেয়, প্রমোদতরীটি মালয়েশিয়ার কাছে ফেরত পাঠানো হবে।
গত মঙ্গলবার (৭ আগস্ট) প্রমোদতরীটি মালয়েশিয়ার পোর্ট ক্ল্যাং বন্দরে নোঙর করে, এখনও সেখানেই অবস্থান করছে।
সোমবার (১১ আগস্ট) ইকুয়ানিমিটি পরিদর্শনে গিয়ে সংবাদমাধ্যমকে মাহাথির জানান, প্রমোদতরীটির রক্ষণাবেক্ষক অনেক ব্যয়বহুল হওয়ায় তা বিক্রির পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে লো’র মুখপাত্রের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, মাহাথির এভাবে অনৈতিকভাবে প্রমোদতরীটি দখল করায় তা কখনোই ন্যায্য মূল্যে বিক্রি করা সম্ভব হবে না। কারণ যে এই জাহাজ কিনবে নৈতিক দায়টি তার ওপরই বর্তাবে।
ওয়ানএমডিবি কেলেঙ্কারিতে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ শুরু থেকেই অস্বীকার করে আসছেন লো।
বাংলাদেশ সময়: ১২২১ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৮
এনএইচটি/এইচএ/