রোববার (১২ আগস্ট) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
খবরে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, ওই শিশুটি স্বজ্ঞানে রয়েছে, সে ক্যামেরার দিকে তাকাচ্ছে।
ছেলেটি সুইজারল্যান্ডভিত্তিক পিলাতুস এয়ারক্রাফ্টের একটি প্লেনে ভ্রমণ করছিল। রোববার (১২ আগস্ট) সকালে পাপুয়া নিউগিনির সীমান্তবর্তী পাহাড়ের পাশে ধ্বংসাবশেষ থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।
শনিবার (১১ আগস্ট) বিকেলের পর থেকে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ওই প্লেনটির। এরপর প্লেনের ধ্বংসাবশেষ পাপুয়ার অকসিবিল এয়ারপোর্টের পাশ থেকে উদ্ধার করা হয়।
প্লেনটি বেসরকারি ডায়মন্ড এয়ারের মালিকানাধীন। সিঙ্গাপুরের তানাহ্ মেরাহ থেকে ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণে ইন্দোনেশিয়ার পাপুয়া প্রদেশে যাত্রা করেছিল। প্লেনটিতে দু’জন ক্রুসহ নয়জন আরোহী ছিলেন।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, প্লেন বিধ্বস্তের পর গ্রামবাসীরা বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শুনতে পায়। এর কারণ উদঘাটনে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এদিকে, পাপুয়া প্রদেশে যাওয়ার জন্য একমাত্র উপায় প্লেন। এ অঞ্চলটি খুবই দুর্গম এবং পাহাড় বেষ্টিত। ওখানে দ্রুত আবহাওয়া পরিস্থিতির পরিবর্তন হওয়ায় প্লেন উড্ডয়ন ও অবতরণ কঠিন হয়ে যায়।
তিন বছর আগে অকসিবিলের কাছে একটি প্লেন বিধ্বস্ত হয়ে ৫৪ জন আরোহী প্রাণ হারান।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৮
এএইচ/টিএ