রোববার (১২ আগস্ট) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। খবরে বলা হয়, ছিনতাইকারী ওই কর্মীর সব পরিচয় ছিল।
এর আগে শুক্রবার সিয়াটল-টাকোমা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে প্লেনটি ‘ছিনতাই’ হয়। ওই ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের একটি ফাইটার জেট প্লেটনিকে ধাওয়া দেয়। প্লেনটি প্রায় ৯০ মিনিট উড্ডয়নের পর কেট্রোন দ্বীপে বিধস্ত হয়। প্লেন বিধ্বস্তের পর ছিনতাইকারীও নিহত হন।
২৯ বছর বয়সী ওই এয়ারলাইনন্স কর্মীর নাম রিচার্ড রাসেল। তিনি তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে ‘হরিজন এয়ারে’ কাজ করতেন।
রিচার্ড রাসেলের ডাক নাম বিবো। আনুষ্ঠানিকভাবে তার নাম প্রকাশ করা হয়নি। তবে তার পরিবারের সদস্যরা তাকে শনাক্ত করেন।
তার পরিবারের সদস্যরা বিবৃতিতে জানান, তারা এ ঘটনায় স্তব্ধ ও শোকাহত। এ ঘটনা বিশ্বাস করা তাদের পক্ষে খুবই কঠিন। বিবো দয়ালু ও শান্ত প্রকৃতির মানুষ ছিল। সে ছিল বিশ্বস্ত স্বামী, স্নেহধন্য পুত্র ও ভালো বন্ধু।
খবরে বলা হয়, রিচার্ড রাসেল ওয়াশিংটনের সামনারে বসবাস করতেন। তার জন্ম হয় ফ্লোরিডায়। সাত বছর বয়সে সে আলাস্কায় চলে আসেন। তার বেকারি ব্যবসা ছিল।
সিয়াটল-টাকোমো বিমানবন্দরের অ্যাভিয়েশন অপারেশন পরিচালক মাইক এহি বলেন, প্লেনে ওই কর্মীর প্রবেশের বৈধতা ছিল। সে কোনো ধরনের নিরাপত্তা ভঙ্গ করেননি।
আলাস্কা এয়ারলাইন্সের প্রধান নির্বাহী ব্রাড টিলডেন বলেন, ওই কর্মীর ব্যাকগ্রাউন্ড খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গতকাল তার ডিউটি ছিলো। যতদূর সম্ভব সে তার নির্ধারিত পোশাক পরিহিত অবস্থায় ছিলো।
বাংলাদেশ সময়: ০৫০২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১৮
এএইচ/এসএইচ