বিশেষ করে ব্যক্তিগত গাড়ি, তামাক ও অ্যালকোহলে বেশি শুল্ক আরোপ করা হয়।
বুধবার (১৫ আগস্ট) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
খবরে বলা হয়, মার্কিন আমদানি পণ্যে শুল্ক বৃদ্ধির ফরমানে স্বাক্ষর করেছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়ব এরদোগান।
মার্কিন আমদানিতে ব্যক্তিগত গাড়ির ক্ষেত্রে ১২০ শতাংশ, অ্যালকোহলিক পানীয়র ক্ষেত্রে ১৪০ শতাংশ ও তামাকজাত পণ্যে ৬০ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধি করেছে তুরস্ক।
এর আগে গত সপ্তাহে মার্কিন সরকার তুরস্কের পণ্যে দ্বিগুণ শুল্ক আরোপ করে। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে দরপতন হতে শুরু করে তুরস্কের মুদ্রা লিরার। ২০ শতাংশেরও বেশি দরপতন হয়ে সংকটে পড়েছে দেশটির অর্থনীতি।
নতুন শুল্ক আরোপ সম্পর্কে তুর্কি ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত উকতাই বলেন, আমাদের অর্থনীতিতে মার্কিন প্রশাসনের সচেতনভাবে আক্রমণের কারণে প্রতিশোধমূলক এ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
এছাড়াও কসমেটিকস, কয়লা ও চালেও শুল্ক বাড়ানো হয়েছে বলে প্রতিবেদনে জানা যায়। এর আগে আইফোনসহ বিভিন্ন মার্কিন ইলেকট্রনিক পণ্য বর্জনের ঘোষণা দিয়েছিলেন এরদোগান।
এদিকে, ফ্লাইটগুলোতে মার্কিন পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধ করে দেবে বলে ঘোষণা দিয়েছে তুর্কি এয়ারলাইন্স।
মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে বিশ্ববাজারে ক্রমশ কমে যাচ্ছে লিরার মান। বিশ্ববাজারেও এর প্রভাবের আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা। লিরা মজুত করে রাখা ইউরোপের ব্যাংকগুলোর শেয়ারের দাম এরইমধ্যে কমে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়াও দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারতের মতো উদীয়মান বাজারেও এ দরপতনের প্রভাব পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
মার্কিন যাজক আটকের ঘটনা থেকে সম্প্রতি তুরস্ক ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্কের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। মার্কিন সরকার তুরস্কের দুই মন্ত্রীর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর মার্কিন কর্মকর্তাকে নিষেধাজ্ঞার হুমকি দেন এরদোগান। এরপর শুক্রবার (১০ আগস্ট) তুরস্কের স্টিল ও অ্যালুমিনিয়াম পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে দ্বিগুণ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০১৮
এএইচ/টিএ