বুধবার (১৫ আগস্ট) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে এমন তথ্য জানা যায়।
খবরে বলা হয়, অনাবাসী প্রবাসীরা নিউজিল্যান্ডে বাড়ি কিনতে পারবেন না।
দেশটির আবাসন খাত দিন দিন চড়া দামের হয়ে যাচ্ছে। ফলে বাড়ি কেনার মতো সামর্থ্য থাকছে না অনেকের। বলা হচ্ছে, কম সুদের হার, সীমিত আবাসন শেয়ার ও অভিবাসীদের কারণে সম্প্রতি নিউজিল্যান্ডে বাড়ির দাম অনেক বেড়ে গেছে।
বুধবার দেশটিতে বিদেশিদের বিনিয়োগ সংক্রান্ত একটি সংশোধনী বিল পাস হয়। এ বিলের প্রভাব পড়বে শুধুমাত্র অনাবাসিক বিদেশিদের ক্ষেত্রে। বিলটির পক্ষে ৬৩টি ভোট জমা হয়, বিপরীতে ভোট পড়ে ৫৭টি।
এখন থেকে বিদেশিরা অধিকাংশ বাড়ি কিনতে পারবেন না। তবে তারা বড় উন্নয়নের স্বার্থে নতুন অ্যাপার্টমেন্টে বিনিয়োগ করতে পারবেন। নিউজিল্যান্ডে বসবাসরত আবাসিক বিদেশি এবং অস্ট্রেলিয়ান ও সিঙ্গাপুরের নাগরিকরা এ নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবেন।
নিউজিল্যান্ডের বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন মন্ত্রী ডেভিড পার্কার এ পদক্ষেপকে ঐতিহাসিক ‘মাইলফলক’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
তিনি বলেন, নিউজিল্যান্ড সরকার চায় ধনী বিদেশি ক্রেতাদের জন্য যাতে দেশের নাগরিক ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। সৌন্দর্যমণ্ডিত লেকের তীর বা সমুদ্রের কাছাকাছি জায়গা অথবা আধুনিক শহরতলীর বাড়ি- যাই হোক এ আইনের ফলে এগুলো আর আন্তর্জাতিক বাজারে চলে যাবে না। বরং এগুলো নিউজিল্যান্ডের নাগরিকদের অধীনে চলে যাবে।
তবে দেশটির বিরোধী দলের সদস্যরা বলছেন, এ আইনের ফলে সমস্যার সমাধান হবে না। এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ অপ্রয়োজনীয়।
গত বছরের নির্বাচনে দেশটির বড় বড় শহরগুলোতে আবাসন সংকট ও বিদেশি নাগরিকদের মালিকানা অনেক বড় ইস্যু হিসেবে আর্বিভাব হয়। যার ফলে নয় বছর শাসন করা ন্যাশন্যাল পার্টিকে হার মেনে নিতে হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১৮
এএইচ/টিএ