শুক্রবার (১৭ আগস্ট) মার্কিন সরকার এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
মার্কিন অর্থ বিভাগ মিয়ানমারের কর্মকর্তাদের ওপর এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। বলা হচ্ছে, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের জাতিগত নিধনের ইস্যুতে এটাই মার্কিন সরকারের সবথেকে কঠিন পদক্ষেপ।
গত বছরে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা জাতিগোষ্ঠীর ওপর সামরিক নিধন অভিযানের কারণে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা তাদের নিজ ভূমি ছেড়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন। এছাড়া মিয়ানমার সেনাবাহিনী হাজারের ওপরে রোহিঙ্গাকে হত্যা করে।
খবরে বলা হয়, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়নের অভিযোগ নিয়ে একটি অনুসন্ধান করছে মার্কিন সরকার। মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বলা হয়, মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মাইক পম্পেও এ পদক্ষেপের ঘোষণা দেন।
বাংলাদেশের ক্যাম্পে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের সাক্ষাৎকারের ওপর ভিত্তি করে প্রতিবেদনটি চলতি বছরের ২৫ আগস্ট প্রকাশিত হতে পারে। এক বছর আগে এই দিনে রোহিঙ্গাদের ওপর সামরিক নিধন শুরু হয়।
মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের ‘টেরোরিজম অ্যান্ড ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স' বিভাগের প্রতিমন্ত্রী সিগাল মানদেলকার বলেন, পুরো বার্মাতে (মিয়ানমার) নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা জাতিগত সহিংসতার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলো। তারা জাতিগত নিধন, যৌন নিপীড়ন, বিচার বর্হিভূত হত্যাসহ বিভিন্ন মানবাধিকার বর্হিভূত কাজের সঙ্গে জড়িত।
তিনি আরও বলেন, এরকম ভয়াবহ আচরণের জন্য অর্থ বিভাগ ইউনিট ও নেতাদের নিষিদ্ধ করছে, যারা এরকম বড় ধরনের মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টির সঙ্গে জড়িত ছিলো।
মিয়ানমারের সামরিক কমান্ডার অং কিয়াও জাও, খিন মাউং সোয়ে, খিন হ্লইং, পুলিশ কমান্ডার থুরা সান লুউনসহ ৩৩তম ও ৯৯তম পদাতিক সেনাবাহিনীর ডিভিশনের ওপর এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন সরকার। এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত, ব্যবসায় বাধা ও গমন নিষিদ্ধ রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৮
এএইচ/আরআর