এদিকে রাজ্যের ১০ জেলায় রেড অ্যালার্ট প্রত্যাহরের পর অ্যাম্বার অ্যালার্ট জারি করেছে কর্তৃপক্ষ।
রোববার (১৯ আগস্ট) স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রেড অ্যালার্ট থেকে কমিয়ে ১০ জেলায় অ্যাম্বার অ্যালার্ট ও দুই জেলায় ইয়েলো অ্যালার্ট জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। অ্যাম্বার অ্যালার্ট অনুযায়ী খারাপ আবহাওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়। এজন্য বন্যায় আক্রান্ত মানুষদের সতর্ক থাকতে হবে। আবহাওয়া জরিপ সংস্থার পূর্বাভাস অনুযায়ী তাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।
অপরদিকে ইয়েলো অ্যালার্ট বলতে বুঝায়, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আবহাওয়া পরিস্থিতির পরিবর্তন হতে পারে অথবা খারাপও হতে পারে।
এদিকে ভারতের নৌবাহিনী উদ্ধার কার্যক্রমের তৎপরতা বাড়িয়েছে। তারা গত ১০ দিন থেকে উদ্ধার কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন। নৌবাহিনীর উদ্ধার কার্যক্রমে জেমিনি বোট, ডুবুরি দল রয়েছে। এছাড়াও উদ্ধার তৎপরতায় সক্রিয় রয়েছে দেশটির সামরিক বাহিনী, বিমান বাহিনী ও ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের (এনডিআরএফ)।
শনিবার (১৮ আগস্ট) দেশটির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, রাজ্যের অনেক এলাকায় এখনও খাবার ও বিদ্যুতের সংকট রয়েছে। বড় আকারের উদ্ধার কার্যক্রম ও ত্রাণ সহায়তার পর এখন হাজারও মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে হবে।
এতে বলা হয়, রাজ্যের প্রায় এক লাখের ওপর মানুষ বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন। তবে ঠিক কতো মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে রয়েছেন এ নিয়ে সঠিক কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
এছাড়াও শুধুমাত্র শনিবারেই বন্যায় ৩৩ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারায়। তবে বন্যা শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ২৪৫ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে।
টানা বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে কেরালায় ৪০ হাজার হেক্টরের বেশি ফসলি জমির ক্ষতি হয়েছে। হাজারেরও বেশি ঘরবাড়ি পুরোপুরি ধসে গেছে, আংশিক ক্ষতি হয়েছে ২৬ হাজারেরও বেশি ঘরবাড়ি। এছাড়া বন্যায় ১৩৪টি ব্রিজ, ১৬ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি দূরত্বের রাস্তা সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৫৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১৮
এএইচ/টিআর/জিপি