সোমবার (২৭ আগস্ট) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশ করা হয়।
এতে বলা হয়, জাতিসংঘের প্রতিবেদনটি কয়েক হাজার সাক্ষাৎকারের ওপর নির্ভর করে তৈরি করা হয়েছে।
এদিকে, বিষয়টি পর্যালোচনা করে বিশ্লেষকরা বলছেন, এ প্রতিবেদনের মাধ্যমে রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়নের জন্য জাতিসংঘের প্রবল নিন্দাও প্রকাশ পেলো।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর কৌশল ধারাবাহিক ও প্রবলভাবে অসামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল। যে কারণে নিরাপত্তার হুমকি তৈরি হয়।
এতে মিয়ানমারের ছয়জন ঊধ্বর্তন সামরিক কর্মকর্তার নামও উল্লেখ করা হয়। সেখানে বলা হয়, এ কর্মকর্তাদের অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।
মিয়ানমারের সহিংসতা নিরোধে দেশটির নেত্রী অং সান সু চির ভূমিকা নিয়েও কঠোরভাবে সমালোচনা করা হয় প্রতিবেদনে। এ সংক্রান্ত মামলাটি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে পাঠানোর জন্য প্রতিবেদনে আহ্বানও জানানো হয়।
অপরদিকে, মিয়ানমার সরকার বরাবরই রাখাইনের এ সহিংসতাকে সন্ত্রাসী ও বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে অভিযান হিসেবে আখ্যা দিয়ে আসছে।
এ প্রসঙ্গে প্রতিবেদনে বলা হয়, সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে নির্বিচারে হত্যা, নারী ধর্ষণ, শিশুদের নির্যাতন ও গ্রাম পুড়িয়ে দেওয়াকে বৈধতা দেওয়া যায় না।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০১৮
এএইচ/টিএ