দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া সবশেষ তথ্যে এ চিত্র উঠে এসেছে।
মন্ত্রণালয়ের জাতীয় জরুরি রেসপন্স সেন্টারের (এনইআরসি) দেওয়া তথ্যে জানানো হয়, কেরালায় এতো সংখ্যক মানুষের প্রাণহানির পাশাপাশি ১৪ জেলার ৫৪ লাখের বেশি মানুষ বৃষ্টি ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগে উত্তর প্রদেশে প্রাণহানি হয়েছে ২১৮ জনের, পশ্চিমবঙ্গে ১৯৮ জনের, কর্ণাটকে ১৬৬ জনের, মহারাষ্ট্রে ১৩৯ জনের, গুজরাটে ৫২ জনের, আসামে ৪৯ জনের এবং নাগাল্যান্ডে ১১ জনের।
এছাড়া চারটি রাজ্যে ৩৭ জন নিখোঁজের তথ্য জানা গেছে। যার মধ্যে কেরালায় ১৫ জন, উত্তর প্রদেশে ১৪ জন, পশ্চিমবঙ্গে পাঁচজন ও কর্ণাটকে তিনজন। আর বৃষ্টি সংক্রান্ত বিভিন্ন ঘটনায় আটটি রাজ্যে আহত হয়েছেন প্রায় সাড়ে তিনশ’ মানুষ।
এদিকে বৃষ্টি, বন্যায় ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেতে কেরালায় সাড়ে ১৪ লাখ মানুষ আশ্রয় ক্যাম্পে অবস্থান করেছেন।
তথ্যে আরো জানানো হয়, আসামে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা সাড়ে ১১ লাখ, রাজ্যে প্রায় ২৮ লাখ হেক্টরের জমির ফসল নষ্ট হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গে সোয়া দুই লাখ মানুষ বন্যার কবলে পড়েছেন, আর নষ্ট হয়েছে সাড়ে ৪৮ লাখ হেক্টর জমির ফসল।
উত্তর প্রদেশে প্রায় তিন লাখ মানুষ বর্ষণে সৃষ্ট বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় অর্ধলাখ জমির ফসল।
কর্ণাটকে সাড়ে তিন লাখ মানুষ বৃষ্টি, বন্যা ও ভূমিধসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। রাজ্যে নষ্ট হয়েছে সাড়ে ৩ হাজার হেক্টর জমির ফসল।
অন্যদিকে কেরালায় স্মরণকালের ভয়াবহ এ বন্যাকে প্রাকৃতিক বিপর্যয় হিসেবেই দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। আর এ বিষয়ে উন্নত রাষ্ট্রগুলো জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ না নিলে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হওয়ার আশঙ্কা করেছেন তারা।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০১৮
জেডএস