শুক্রবার (৩১ আগস্ট) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। খবরে বলা হয়, এ পরিকল্পনার ফলে সৌদি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে কাতার।
সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের ঊধ্বর্তন উপদেষ্টা সাউদ-আল-কাহতানি এক টুইট বার্তায় লেখেন, ‘সালওয়া দ্বীপ প্রজেক্টের’ বাস্তবায়নের পুরো প্রক্রিয়ার ব্যাপারে অধৈর্য হয়ে অপক্ষো করছি। এটি ঐতিহাসিক একটি প্রকল্প যার মাধ্যমে এ অঞ্চলের ভৌগোলিক অবস্থার পরিবর্তন হবে।
গত এক বছর ধরে সৌদি সমর্থিত অঞ্চলগুলো কাতারকে বর্জনের পদক্ষেপ নেয়। পারস্য উপসাগরের এ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নসহ নানা অপকর্মের অভিযোগও তোলে। এখন সৌদি আরব নাটকীয়ভাবে কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক পরিবর্তন করছে।
চলতি বছরের এপ্রিলে সৌদির সাবাক নিউজের ওয়েবসাইটে বলা হয়, সৌদি সরকার একটি খাল নির্মাণের পরিকল্পনা করছে যার ৬০ কিলোমিটার দীর্ঘ হবে, প্রশস্ত হবে ২০০ মিটার। পুরো অঞ্চলটিতে কাতারের সঙ্গে সৌদির সীমান্ত রয়েছে। প্রকল্পটির জন্য আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে ২.৮ বিলিয়ন রিয়াল বা ৭৪৫ মিলিয়ন ডলার।
স্থানীয় কিছু সংবাদ মাধ্যমের বরাত দিয়ে বলা হয়, পাঁচটি আন্তর্জাতিক কোম্পানির কাছে এই প্রকল্পের জন্য নিলাম আহ্বান করা হয়েছে। এমনকি সময়সীমাও বেধে দেওয়া হয়েছে। চলতি মাসেই বিজয়ী কোম্পানির নাম ঘোষণা করা হবে।
তবে সৌদি সরকার এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। কাতারও এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করেনি।
শুধু সৌদি আরবের সঙ্গে কাতারের স্থলসীমান্ত রয়েছে। গত বছরের জুন থেকে এ সীমান্তও বন্ধ রয়েছে। একই বছরের এপ্রিলে সৌদি বাহিনী সালওয়ালা সীমান্ত ক্রসিংয়ের দখলও নিয়েছে। ফলে স্থলপথে কোনো দেশের সঙ্গে কাতারের যোগাযোগ নেই। তবে বর্হিবিশ্বের সঙ্গে কাতারের সমুদ্রপথ ও আকাশপথে যোগাযোগ রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০১৮
এএইচ