এই প্রেক্ষাপটে শনিবার (১ সেপ্টেম্বর) বিবৃতি দিয়ে আরব জোটের জয়েন্ট ইনসিডেন্টস অ্যাসেসমেন্ট টিমের (জিয়াট) প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল মনসুর আল-মনুসর বলেন, ওই হামলাটি ছিল ভুল। আর এই ভুলের জন্য দায়ীদের জবাবদিহির মুখোমুখি করবে জোট।
গত ৯ আগস্ট ইয়েমেনের উত্তরাঞ্চলীয় সাদা প্রদেশের একটি মার্কেটে হামলার সময় শিক্ষার্থীবাহী বাসটিকেও আঘাত করে আরব জোটের যুদ্ধবিমান। এতে ৪০ স্কুলছাত্র নিহত হয়। বেসামরিক লোকজনের প্রাণহানিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে খোদ যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে বলা হয়, বেসামরিক প্রাণহানি বন্ধে সৌদি জোট ব্যর্থ হলে তাদের ওপর থেকে সমর্থন তুলে নিতে পারে ওয়াশিংটন ও তার মিত্ররা।
ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের নেতৃত্বে সৌদি বাহিনী ইয়েমেনের সুন্নিপন্থি সরকারের গদি রক্ষায় ‘ইরানের আশীর্বাদপুষ্ট’ শিয়াপন্থি হুথি বিদ্রোহীদের দমনের কথা বললেও প্রথম থেকেই সেখানে বিপুলসংখ্যক বেসামরিক মানুষের প্রাণহানির খবর মিলছে। এর সবশেষ নজিরই দেখা যায় ৯ আগস্ট।
তবে সেটাকে ভুল স্বীকার করে লে. জে. আল-মনসুর বলেন, জোটের কাছে তথ্য ছিল ওই বাসে হুথি নেতা ও যোদ্ধারা ছিল, যেজন্য সামরিক আক্রমণটি করা হয়েছিল। কিন্তু এখন স্বীকার করতে হচ্ছে লক্ষ্যবস্তুতে হামলা করতে গিয়ে এই ক্ষতিটা হয়ে গেছে।
সৌদির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম এসপিএতে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, এই ভুলের জন্য যৌথ সামরিক জোট দুঃখ প্রকাশ করছে এবং হতাহতদের পরিবারের প্রতি সমানুভূতি, সমবেদনা ও সংহতি জানাচ্ছে।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে ইয়েমেন সরকারের সঙ্গে সৌদি জোট সহায়তা করবে জানিয়ে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইয়েমেন অভিযানে সামরিক জোটের ভূমিকার বিষয়াদি পর্যালোচনা করা হবে।
এছাড়া সৌদি জোটের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, তারা কখনোই বেসামরিক নাগরিকদের টার্গেট করে না। যদিও মানবাধিকার সংস্থাগুলো বরাবরই সামরিক জোটটিকে মার্কেট, স্কুল, হাসপাতাল ও আবাসিক এলাকায় হামলার জন্য অভিযুক্ত করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০২, ২০১৮
এইচএ/