ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, চীনের স্যাংপো নদীর পানি ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। এক পর্যায়ে গত সপ্তাহে আসামের ব্রহ্মপুত্র নদে পানি ছেড়ে দেয় দেশটির কর্তৃপক্ষ।
এদিকে উজান থেকে পানি আসায় ব্রহ্মপুত্রের পাশাপাশি সিয়াং নদীতে স্রোত অতিরিক্ত মাত্রায় বেড়ে যায়। এ নিয়ে বড় ধরনের বন্যার আশঙ্কা করছে আসাম কর্তৃপক্ষ। অরুণাচল ও আসামে এ ঘটনায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে
চীন সরকার বলছে, ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে স্যাংপো নদী পানিতে ফুলে-ফেটে উঠছে। এক পর্যায়ে গত ৫০ বছরের ইতিহাসের সর্বোচ্চ পানি হয় নদীটিতে।
এদিকে, আসামের ডিব্রুগড় কেন্দ্রীয় পানি কমিশন বলছে, লোকজনকে চিন্তিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। গত ১৪ আগস্ট একটা নির্দিষ্ট সময়ে আট হাজার ৭০ কিউসেক পানি চীন থেকে ছাড়ার রেকর্ড করা হয়েছে। যাতে বড় কোনো ক্ষতি হবে না। তবে সতর্ক থাকা উচিত।
খবরে বলা হয়েছে, সিয়াং-ব্রহ্মপুত্রে অতিরিক্ত মাত্রায় পানি বেড়েছে, ফলে বেড়েছে স্রোতেও তোপও। এর পরিপ্রেক্ষিতে দুর্যোগ পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে অরুণাচল ও আসামে রাজ্যের বিপদ সংকুল জেলাগুলোতে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
এছাড়া দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবেলায় আসামের ডিব্রুগড় ও লক্ষ্মীপুর জেলার সকল প্রশাসনিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
অপরদিকে, অরুণাচল প্রদেশে নদীতে মাছ ধরা বা যাতায়াত করতে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।
প্রদেশের পূর্ব সিয়াং ডেপুটি কমিশনার তামিও তাতাক বলেন, আমি সবার সঙ্গে যোগাযোগ করেছি এবং দেখেছি আকস্মিক নদীর পানি অনেক বেড়েছে। কিন্তু এটি অস্বাভাবিক নয়।
এদিকে, আসাম রাজ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষও বিপদ মোকাবেলায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। রাজ্যের ডেপুটি কমিশনার লও মাদুরী বলেন, আমরা ঘন ঘন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। বন্যাপ্রবণ এলাকায় আমরা প্রতিনিধি পাঠিয়েছি। প্রয়োজন হলে সেসব এলাকার মানুষকে আমরা সরিয়ে নেবো। এছাড়া যানবাহন ও নৌকা প্রস্তুত রাখা হয়েছে ওইসব এলাকায়। সেই সঙ্গে সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
এদিকে, ব্রহ্মপুত্র নদের এ অতিরিক্ত পানির প্রভাব বাংলাদেশেও পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এতে দেশের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে যেতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৩, ২০১৮
টিএ/