মিয়ানমারের এক বিবৃতিতে বলা হয়, এই ভুলের জন্য পাঠক এবং ওই ছবি দুটির আলোকচিত্রীদের কাছে আমরা আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সোমবার (০৩ সেপ্টেম্বর) মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মুখপত্র ‘দ্য মিয়াওয়াদি ডেইলি’ ‘মিয়ানমার পলিটিকস অ্যান্ড দ্য টাটমাডো: পার্ট ওয়ান’ শিরোনামের বইটিতে প্রকাশিত দুটি ছবির জন্য ক্ষমা চেয়েছে।
মিয়ানমারের সেনাবাহিনী গত জুলাই মাসে বইটি প্রকাশ করে, যেখানে অন্য দেশের পুরনো দুটি ছবি ব্যবহার করে রাখাইনের রোহিঙ্গাদের নিয়ে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করা হয়।
সমুদ্রপথে থাইল্যান্ড বা মালয়েশিয়া যাওয়ার সময় আটক ট্রলারবোঝাই রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি অভিবাসীদের এই ছবিটি মিয়ানমারে বাঙালিদের অনুপ্রবেশ হিসেবে দেখানো হয়েছে।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে বুড়িগঙ্গা নদীতে ভাসমান মরদেহের ঐতিহাসিক ছবি আর রুয়ান্ডার হুতি শরণার্থীদের তানজানিয়া যাত্রার ছবির প্রসঙ্গ টেনে বলা হয়েছে, ছবি দুটি ভুল ছাপা হয়েছে। ওই ভুলের জন্য আমরা পাঠক ও ছবির স্বত্বাধিকারীদের কাছে আন্তরিকভাবে ক্ষমা চাইছি।
গত জুলাইতে ‘মিয়ানমার পলিটিকস অ্যান্ড দ্য টাটমাডো: পার্ট ওয়ান’ শিরোনামে ১১৭-পৃষ্ঠার বইটি প্রকাশ করেছে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর জনসংযোগ ও মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ বিভাগ। রয়টার্স জানিয়েছে, মিয়ানমারের বাণিজ্যিক রাজধানী ইয়াঙ্গুনের প্রধান বইয়ের দোকানগুলোতে বিক্রি হচ্ছে বইটি। বইটিতে রুয়ান্ডার শরণার্থীদের একটি ছবি মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
ওই বইতে বাংলাদেশ ও তানজানিয়ার ছবি দুটিকে রোহিঙ্গাদের ছবি হিসেবে উপস্থাপন করেছিল মিয়ানমার সেনাবাহিনী। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে বুড়িগঙ্গা নদীতে ভাসমান মরদেহের ঐতিহাসিক ছবিটিকে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বইতে ১৯৪০-এর দশকে বৌদ্ধদের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের হত্যাযজ্ঞের ছবি বলা হয়েছে। আরেকটি ছবিতে রুয়ান্ডার হুতি শরণার্থীদের তানজানিয়া যাত্রার ছবিকে উপস্থাপন করে বলা হয়েছে, ব্রিটিশ উপনিবেশের পর বাঙালিরা মিয়ানমারের নিম্নাংশে (রাখাইনে) প্রবেশ করে।
‘মিয়ানমারের রাজনীতি ও সেনাবাহিনী: প্রথম পর্ব’ নামে ১১৭ পৃষ্ঠার ওই বইয়ে গত বছরের আগস্টের পর শুরু হওয়া সামরিক অভিযান নিয়ে সেনাবাহিনীর ভাষ্য তুলে ধরা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১৮
এসকে/এনটি