উত্তর-পূর্ব রাজ্য আসামের ব্রহ্মপুত্র নদ এলাকার গুয়াহাটির সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চীনের স্যাংপো থেকে ছেড়ে দেওয়া পানিতে ব্রহ্মপুত্রসহ এর উপনদীগুলোতে অতিরিক্ত মাত্রায় পানি বেড়ে বিপদ সীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সেইসঙ্গে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে যাচ্ছে।
আগস্টে ভারতের জনপ্রিয় পর্যটন রাজ্য কেরালাতে ভয়াবহ বন্যায় পাঁচ শতাধিক মানুষের মৃত্যু পর এবার চীনের পানিতে আসাম এবং অরুণাচল প্রদেশে সে রকম না হোক তবে বড় ধরণের বিপদের আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।
এদিকে, ব্রহ্মপুত্র নদের এ অতিরিক্ত পানির প্রভাব ভাটির দেশ বাংলাদেশেও পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এতে দেশে বন্যা হতে পারে বলে সতর্ক করেছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর।
আসাম রাজ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের (এএসডিএমএ) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই মৌসুমে ব্রহ্মপুত্রের পানিতে আসামের ধেমাজি, বিশ্বনাথ, গোলাঘাট ও শিবসাগর জেলার প্রায় ৬৭৬ হেক্টর জমি তলিয়ে গেছে। তবে এখনও কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। এছাড়া নদে প্রচণ্ড রকমের স্রোত রয়েছে। সেইসঙ্গে পানির ঢেউ দুই পাড়ে বড় আঘাত হানতে পারে।
প্রতিবেদনটি বলছে, বন্যায় চার জেলার ৪৮টি গ্রামের ১২ হাজার ৪২৮ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে ধেমাজি জেলায়।
অন্যান্য জেলায়ও বেশ ক্ষতি হয়েছে বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম থেকে জানা যায়। তাই সব জেলায়ই এখন ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে।
চীন কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, চীনে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে স্যাংপো নদী পানিতে ফুলে-ফেটে উঠছে। এক পর্যায়ে গত ৫০ বছরের ইতিহাসের সর্বোচ্চ পানি হয় নদীটিতে। পরে গত সপ্তাহে আসামের ব্রহ্মপুত্র নদে পানি ছেড়ে দেয় দেশটির কর্তৃপক্ষ। এতে ব্রহ্মপুত্রের পাশাপাশি সিয়াং নদী এবং উপনদীগুলোতে স্রোত অতিরিক্ত মাত্রায় বেড়ে যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১৮
টিএ