সরকার বদলের পর প্যারাগুয়ের কূটনীতিতে বড় পরিবর্তনের আভাস হিসেবেই এ সিদ্ধান্ত বর্তমান ক্ষমতাসীনরা। কয়েক মাস আগেই যুক্তরাষ্ট্রের দেখাদেখি গুয়েতেমালা জেরুজালেমে নিজেদের দূতাবাস স্থানান্তর করলে প্যারাগুয়েও এই সমালোচিত কাজটি করে।
সেসময় প্যারাগুয়ের প্রেসিডেন্ট ছিলেন ওরাতিও কার্তেস। তিনি মে মাসে ইসরায়েল সফরকালে জেরুজালেমে গিয়ে দূতাবাস উদ্বোধন করেন। কিন্তু সাম্প্রতিক নির্বাচনের পর ক্ষমতায় এসে কূটনীতি বদলে দেওয়া নয়া মারিও আবদো বেনিতেজ দূতাবাস আগের জায়গায়ই ফিরিয়ে আনার কথা জানিয়ে দিলেন।
প্যারাগুয়ের নতুন সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লুইস আলবার্তো ক্যাস্তিগলিওনি এক বিবৃতিতে জানান, মধ্যপ্রাচ্যে বৃহৎ, স্বচ্ছ ও শান্তি প্রতিষ্ঠা অর্জনে আঞ্চলিক কূটনীতিতে যে প্রচেষ্টা চলছে, তাতে অবদান রাখতে চায় প্যারাগুয়ে।
এদিকে প্যারাগুয়ের এ কূটনৈতিক সিদ্ধান্তে চটেছে আগ্রাসনবাদী ইসরায়েল। তারা দেশটিতে ইসরায়েলি দূতাবাস বন্ধ ও রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহারেরও ঘোষণা দিয়েছে।
তবে এ যুগান্তকারী সিদ্ধান্তের জন্য প্যারাগুয়েকে ধন্যবাদ জানিয়েছে ফিলিস্তিন। খুব শিগগির লাতিন আমেরিকার দেশটিতে নিজেদের দূতাবাস চালুর ঘোষণাও দিয়েছেন ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রী রিয়াদ আল মালিকি।
১৯৯৩ সালের ফিলিস্তিন-ইসরায়েল শান্তিচুক্তি অনুযায়ী, জেরুজালেম নগরীর বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে নিষ্পত্তি হতে হবে। এই চুক্তি অনুযায়ী ভাবী ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে দেখা হয় পূর্ব জেরুজালেমকে।
কিন্তু দশকের পর দশক ধরে অনুসৃত এ নীতি থেকে সরে এসে গত বছরের ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পুরো জেরুজালেমকেই ইসরায়েলের রাজধানী স্বীকৃতি দিয়ে তেলআবিব থেকে সেখানে দূতাবাস স্থানান্তরের ঘোষণা দেন। এর প্রেক্ষিতে পুরো বিশ্বজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। খোদ পশ্চিমা মিত্ররাও ট্রাম্পের এই খেয়ালি সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে। পরে অবশ্য ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) পূর্ব জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১৮
এএইচ/এইচএ/