শনিবার (৮ সেপ্টেম্বর) দেশটির আদালত এ রায় দেন। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
খবরে বলা হয়, আদালতের রায়ে ৭৫ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৪৭ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে ইসলামিক নেতাও রয়েছেন।
এদিকে এ রায়ের সম্পর্কে মানবাধিকার সংস্থা অ্যামেনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল নিন্দা জানিয়েছে। এ রায়কে ‘অন্যায়’ হিসেবে উল্লেখ করেছে সংস্থাটি। তারা এটাও বলছে, এটি মিশরের সংবিধানের লঙ্ঘন।
২০১৩ সালে রাবা আল আদাউইয়া স্কয়ারে গণবিক্ষোভ হয়। পরে সেখান থেকে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে অনেক প্রতিবাদকারীকে হত্যার অভিযোগ রয়েছে।
গত বছর মিশরের আদালত ২০১৩ সালের ওই অভিযানের জন্য সামরিক কর্মকর্তাদের মুক্তি দেন। ২০১৩ সালের জুলাই থেকে ২০১৬ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত যে কোনো অপরাধের জন্য তাদের মুক্তি দেওয়া হয়।
দেশটির নিষিদ্ধ মুসলিম ব্রাদারহুডের অনেক নেতা ও রাজনীতিকেও সাজা দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছেন মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রধান নেতা মোহাম্মদ বাদিই। এছাড়াও পুরস্কার বিজয়ী ফটো সাংবাদিক মোহাম্মদ আবু জেইদের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে।
মানবাধিকার সংস্থাগুলো এ রায়ের কড়া সমালোচনা করেছেন। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে, ওই বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা অন্তত ৮১৭ জনকে হত্যা করেছিলেন।
তবে দেশটির সরকার বলছে প্রতিবাদকারীরা সশস্ত্র ছিলেন। এ ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৪৩ জন পুলিশ। ওই ঘটনার পর মুসলিম ব্রাদারহুডকে দেশটিতে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১৮
এএইচ