সোমবার (১০ সেপ্টেম্বর) থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ সুবিধা পাবেন দিল্লিবাসী। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, বিভিন্ন ধরনের সার্টিফিকেট যেমন: শ্রেণি ও আয়, শিক্ষানবিশ ও চূড়ান্ত ড্রাইভিং এবং বিবাহের সার্টিফিকেট ছাড়াও রেশন কার্ড, যানবাহনের মালিকানা পরিবর্তন, বয়স্কদের পেনশন, পানি ও ড্রেন সংযোগসহ প্রয়োজনীয় ৪০ ধরনের সেবা ঘরে পৌঁছে দেওয়া হবে।
গত শুক্রবার (৭ সেপ্টেম্বর) এক টুইট বার্তায় এ সেবাকে ‘শাসন পদ্ধতিতে বিপ্লব’ হিসেবে আখ্যা দেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। টুইট বার্তায় তিনি লেখেন, ঘরে পৌঁছে দেওয়া সেবা সুবিধা শাসন পদ্ধতির ক্ষেত্রে বিপ্লব, দুর্নীতিকে চপেটাঘাত। জনগণের জন্য খুবই স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক এই সুবিধা। আমি খুবই খুশি যে, বিশ্বে প্রথমবারের মতো ১০ সেপ্টেম্বর থেকে এ সুবিধা চালু হচ্ছে।
গত বছরের নভেম্বরে পরিকল্পনাটির অনুমোদন দেয় দিল্লির মন্ত্রিসভা। কিন্তু পরে লেফট্যানেন্ট গভর্নর অনিল বাইজালকে পরিকল্পনাটি থামিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয় সরকার। পরে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে লেফট্যানেন্ট গভর্নর কার্যালয় এটির অনুমোদন দেয়।
দিল্লি সরকারের এক কর্মকর্তা জানান, দিল্লিতে এ কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকবে বিশ্বের অন্যতম পাসপোর্ট ও ভিসা সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ভিএফএস গ্লেবাল। একটি কল সেন্টারের মাধ্যমে সেবাটি দেওয়া হবে। এর জন্য ‘ভ্রাম্যমাণ কর্মী’ বাড়ি বাড়ি গিয়ে সময় অনুযায়ী উপাত্ত সংগ্রহ করবেন। বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহের জন্য তাদের কাছে ডিভাইসও থাকবে।
তিনি আরও বলেন, সেবাটি পেতে হলে হেল্পলাইনের ১০৭৬ নম্বরে কল করতে হবে। হেল্পলাইনে কল করে সেবার আবেদন জানালে কল সেন্টার তথ্যের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সরবরাহ করবে।
সেবা পেতে নিজের পছন্দ অনুযায়ী তারিখ ও সময় নির্ধারণ করা যাবে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরি হয়ে গেলে স্পিড পোস্টের মাধ্যমে এগুলো সরবরাহ করা হবে বলে জানান তিনি।
সংশ্লিষ্টরা জানান, এ সেবা চালু হলে আবেদনকারীকে আর সংশ্লিষ্ট অফিসে যেতে হবে না। দীর্ঘ সারিতেও দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না। তবে কিছু ক্ষেত্রে তাদের অফিসগুলোতে যেতে হবে। যেমন: ড্রাইভিং লাইসেন্সের শারীরিক পরীক্ষা। এক্ষেত্রে শারীরিকভাবে উপস্থিতি আবশ্যক।
সেবাটি বন্ধের দিন রোববারসহ প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চালু থাকবে বলে জানিয়েছে দিল্লি সরকার। এরপর ৬০ ধরনের সেবা বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে বলেও জানা গেছে।
এর আগে লেফট্যানেন্ট গভর্নর অনিল বাইজাল পরিকল্পনাটি নিয়ে চিন্তাভাবনার সুপারিশ করেছিলেন। সেসময় নিরাপত্তা, তথ্য-উপাত্ত হারিয়ে যাওয়া, অসদাচারণের মতো অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। এছাড়াও তার মতে, প্রথম ধাপে চালু হওয়া সুবিধাগুলো অনলাইনেই পাওয়া যায়।
তবে এএপি সরকার বলছে, যদিও সুবিধাগুলো অনলাইনে রয়েছে তবুও সরকারি অফিসে দীর্ঘ সারিতে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়, চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় জনগণের।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০১৮
এএইচ/আরআর