রোববার (৯ সেপ্টেম্বর) দেশটির বার্ষিকী পালন করা হয়। এবারের বার্ষিকীতে ক্ষেপণাস্ত্র নয়, পতাকা উড়িয়ে ও ফুল দিয়ে দিনটি উদযাপন করেছে উত্তর কোরিয়া।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা গেছে, পতাকা উড়িয়ে ও ফুল দিয়ে স্তব পাঠ শুরু হওয়ার পর সারিবদ্ধভাবে সেনারা কুচকাওয়াজ করেন। সেসময় ট্যাংক সাজানো ছিল।
অন্য বছরের মতো এবার আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শন করেনি উত্তর কোরিয়া। এমনকি এবার পারমাণবিক পরীক্ষাও চালায়নি দেশটি।
দেশটির বিশেষ দিবসগুলো উপলক্ষে নিজেদের সামরিক সক্ষমতা ও ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন প্রদর্শন করা হয়। তবে এবারই তার ব্যতিক্রম হয়েছে।
খবরে বলা হচ্ছে, এ বছরের বার্ষিকী উদযাপনের থিম ছিল অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও দুই কোরিয়ার ঐক্য। প্রদর্শনীতে আধুনিক ট্রেন, সোলার প্যানেল, বায়ুচালিত বিদ্যুৎ প্যানেল ও বাঁধ প্রদর্শন করা হয়। এছাড়া স্লোগান ছিল- আমাদের সবকিছুই অর্থনীতি নির্মাণের জন্য!
প্রদর্শনীর সময় দেশটির শীর্ষস্থানীয় নেতা কিম জং নাম বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, আমরা সামরিক শক্তি অর্জন করেছি। এখন অর্থনীতি শক্তিশালী করার জন্য কাজ করছি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের পর পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে উত্তর কোরিয়ার প্রধান নেতা কিম জং উনের প্রতিশ্রুতির জন্য ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শনী থেকে সরে এসেছে উত্তর কোরিয়া।
এদিকে উত্তর কোরিয়ার পার্টির সংবাদপত্র রোডং সিনমুন তাদের সম্পাদকীয়তে কোরিয়ার ঐক্যের কথা উল্লেখ করেছে। তারা বলছে, আমাদের নতুন প্রজন্মের ঐক্যের জন্য সব কোরিয়ানদের এগিয়ে আসা উচিত। টিকে থাকার জন্য ঐক্যই কোরিয়ানদের একমাত্র পথ।
উল্লেখ্য, চলতি মাসের ১৮ থেকে ২০ তারিখে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইনের সঙ্গে কিম জং উনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০১৮
এএইচ/আরআর