সোমবার (১০ সেপ্টেম্বর) দেশটির সরকার আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, শীর্ষ গাড়ি প্রস্তুতকারক কোম্পানি ‘টয়োটা’র প্রস্তুত কাজ এখনও বন্ধ রয়েছে। এছাড়া এখনও বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে।
৬ সেপ্টেম্বর ভোরে উত্তরাঞ্চলীয় দ্বীপ হোক্কাইডোর উত্তরে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৬.৭। উৎপত্তিস্থল ছিল রাজধানী শহর সাপোরোর ৬৮ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে ভূপৃষ্ঠের ৪০ কিলোমিটার গভীরে। সেসময় বন্ধ হয়ে যায় আকাশ ও রেলপথের যোগাযোগ।
দেশটির ফায়ার ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা বলছে, আড়াই হাজারের মতো মানুষ শরণার্থী কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। ভূমিকম্পের কারণে ব্যাপক ভূমিধসের পাশাপাশি অনেক বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সরকারের মুখপাত্র ইয়শহিহিদে সুগা বলেন, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য, দমকল কর্মী, পুলিশ ও অন্যরা মিলে প্রায় ৪০ হাজারের মতো একটি দল ধ্বংসাবশেষে কাজ করছে। এখন কোনো মানুষ নিখোঁজ নেই।
এর আগে মঙ্গলবার (৪ সেপ্টেম্বর) ‘জেবি’ নামের এক টাইফুন জাপান উপকূলে আঘাত হানে। দেশটিতে ২৫ বছরের মধ্যে এটিই সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড়। এই টাইফুনের আঘাতে কিয়োটো ও ওসাকাসহ পশ্চিমাঞ্চল লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। খবর পাওয়া যায় অন্তত ১০ জনের প্রাণহানির।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৮
এএইচ/আরআর