সোমবার (১০ সেপ্টেম্বর) থেকে পুরো ভারতে জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধিতে এ প্রতিবাদ শুরু হয়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, এ ঘটনায় বেশ চাপেই পড়েছে সরকার।
বিশ্লেকরা বলছেন, দেশটিতে আসছে সাধারণ নির্বাচনের নয় মাসেরও কম সময় রয়েছে। আবার আগামী বছরে অনেক প্রদেশের প্রাদেশিক নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হবে। ফলে জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির বিষয়টি জাতীয় ও প্রাদেশিক নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে।
খবরে এও বলা হয়, কয়েকটি রাজ্যে প্রতিবাদ সভা সহিংসতায় রূপ নিয়েছে। বিহারের রাজধানী পাটনায় প্রতিবাদকারীরা গাড়ি ভাঙচুর করছেন। অনেকে ভেঙে দিয়েছেন গাড়ির জানালাও। এমনকি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নিজের রাজ্য গুজরাটেও প্রতিবাদ চলছে। এখানে প্রতিবাদকারীরা টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করে রেখেছেন।
পেট্রোল ও ডিজেলের ট্যাক্স ভারত সরকারের অন্যতম আয়ের উৎস। আবার ভোটারদের জন্য জ্বালানির মূল্যের ইস্যুটিও গুরুত্বপূর্ণ।
আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পেলেও সেক্ষেত্রে ভারতে ট্যাক্স বাড়ায়নি এর আগের সরকারগুলো। তবে মোদি সরকারের ক্ষেত্রে এ বিষয়ে খুব কম সুবিধা দেওয়া হয়েছে।
দেশটির প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস টুইট বার্তায় লিখেছে, জ্বালানিতে অতিরিক্ত ট্যাক্স বসিয়ে জনগণের পকেটের পয়সা ‘চুরি’ করছে মোদি সরকার।
ওই টুইট বার্তায় বিভিন্ন পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির ছবিও সংযুক্ত করে দলটি।
তবে মোদির দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির বিষয়টিকে রাজনীতিকীকরণের অভিযোগ তুলেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৮
এএইচ/টিএ