সোমবার (১০ সেপ্টেম্বর) অস্ট্রেলিয়ার পুলিশ আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন। পুলিশ বলছে, ভোতা যন্ত্রপাতি ও ছুড়ি দিয়ে পার্থের শহরতলীর বাড়িতে স্ত্রী, সন্তান ও শ্বাশুড়িকে হত্যা করেছে যুবক।
পুলিশের দাবি, ৪১ বছর বয়সী স্ত্রী মারা কুইন, তিন বছরের কণ্যা, দুই বছরের জমজ শিশু ও ৭৩ বছর বয়সী শ্বাশুড়িকে হত্যা করেছে হার্ভে নামের এ যুবক। স্ত্রী, সন্তান হত্যার পরদিন শ্বাশুড়িকে হত্যা করেন তিনি।
ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার পুলিশ কমিশনার ক্রিস ডাওসন বলেন, এ ঘটনায় কোন আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা হয়নি। তবে তাদের ধারণা, ভোতা অস্ত্র ও ছুরি ব্যবহার করা হয়েছে।
এর আগে বাড়িটি থেকে পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তাদের হত্যার এক সপ্তাহ পর ওই যুবক পুলিশ স্টেশনে আসলে পুলিশ তাদের মরদেহ উদ্ধার করে। অঞ্চলটি উত্তরাঞ্চলের শহর থেকে ১৫০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
স্থানীয়দের ভাষ্য, পরিবারটি খুবই সাদাসিধে ছিল। এমনকি তারা ছিল জনবিচ্ছিন্ন।
মারা কুইনের ফেসবুক প্রোফাইলে দেখা যায়, সদ্যজাত শিশু তার হাতে শোয়ানো। অভিযুক্ত হার্ভে তার পাশেই দাঁড়ানো। এছাড়া লেখা রয়েছে তারা ২০১৪ সালে সম্পর্কে আবদ্ধ হন।
রিচার্ড নামে তাদের এক প্রতিবেশি জানান, আমরা কয়েকদিন থেকে লক্ষ্য করছিলাম পরিবারটি খুবই নিস্তব্ধ, যা ছিল অস্বাভাবিক। আমরা শিশুটিকে খেলতে দেখতাম, তাদের কথাও শুনতাম।
দুই মাস আগে পার্থের দক্ষিণে অসমিংটন শহরের গ্রাম্য এলাকা থেকে সাত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৮
এএইচ