এরইমধ্যে ঝড়ের মুখে থাকা লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে বলেছে কর্তৃপক্ষ। উত্তর ক্যারোলিনা উপকূল, ভার্জিনিয়াতেও জরুরি অবস্থা জারি করার কথা জানিয়েছেন দক্ষিণ ক্যারেলিনা গর্ভনর হেনরি ম্যাকমাস্টার।
ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার (এনএইচসি) জানিয়েছে, ক্যাটাগরি ৪ ঝড়ে রূপ নেওয়া ‘ফ্লোরেন্স’র বর্তমানে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৯৫ কিলোমিটার, যা আরো শক্তি সঞ্চয় করে ‘প্রলয়ঙ্করী’ হচ্ছে।
বলা হচ্ছে, ১৯৮৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের পূর্বাঞ্চলকে লণ্ডভণ্ড করে দেওয়া ‘হুগো’র পর ‘ফ্লোরেন্স’ হবে ক্যাটাগরি ৪ ঘূর্ণিঝড়। সে সময় ঝড়ে অন্তত ৪৯ জনের প্রাণহানি হয়, ক্ষতিগ্রস্ত হয় সাত বিলিয়ন ডলারের সম্পদ।
এনএইচসি জানিয়েছে, ফ্লোরেন্সের ঝড়ো বেগের কারণে ‘জীবন ঝুঁকি’র শঙ্কা ক্রমেই বাড়ছে। প্রবল বর্ষণে বন্যা ও ভূমিধসের আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে। জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ ডেন মিরার জানান, ঘূর্ণিঝড়ের সার্বিক অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে এটি কারো কারো জন্য ভয়াবহ হতে পারে।
এদিকে হারিকেন ফ্লোরেন্সের কারণে আগামী শুক্রবার (১৪ সেপ্টেম্বর) মিসিসিপ্পির পূর্ব নির্ধারিত র্যালি বাতিল করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একইসঙ্গে সবাইকে সর্তক থাকতে বলেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৮
জেডএস